দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে গতকাল তিনি এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান উল্লেখ করেন, সরকারকে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে রাষ্ট্রের মহামূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধার করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতালোভী, দুশ্চরিত্রের এরশাদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি জিয়া হত্যায় জড়িত থেকে মুক্ত রাখার জন্য, নির্বিঘ্নে ক্ষমতা দখল করতে জিয়ার অন্ধভক্তদের উৎকোচের মাধ্যমে বিপথগামী করার পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার মন জয় করেন।
কিন্তু নিয়তি তাকে (খালেদা জিয়া) এরশাদের দিকেই ধাবিত করে, যখন তিনি ওই মূল্যবান সরকারি সম্পত্তি (সেনানিবাসের বাড়ি) পান।
আলোচিত এই বিএনপি নেতা বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দুই মেয়াদে বেগম জিয়া ছিলেন যথেষ্ট মাত্রায় পারিবারিক ও কায়েমি স্বার্থবাদী। বেগম জিয়ার শাসনামলে যুবসমাজের মধ্যে অতিমাত্রায় উচ্ছৃক্সখলতার উদ্ভব ঘটে, যা দেশে এখনো বিদ্যমান। ক্ষমতা পেয়ে তিনি দেশে পারিবারিক রাজনীতির উন্নতি করেন আর নিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন। বিবৃতিতে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান আরও বলেন, খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি কার্যত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়।
তার ভাই, বোন, ছেলে, তাদের বন্ধুবান্ধব ও সহযোগী, এমনকি কিছু কর্মচারী ও চাকর এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন যে তারা আইনের আওতার বাইরে থেকে যান। দেশকে তিনি তার প্রাইভেট কোম্পানিতে রূপ দেন। এমনকী গণতন্ত্রের প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা ছিল না। তিনি বড়, জ্ঞানী, উচ্চশিক্ষিত, বিদ্বজ্জন, সমাজকর্মী কিংবা নাগরিক কারো প্রতিই সম্মান দেখাননি।
বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা আরও বলেছেন, বেগম জিয়া নিজ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের প্রতিও কখনো নূ্যনতম সম্মান দেখাননি।
তিনি ভাবতেন, বিএনপি তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে গড়া কোম্পানি এবং তিনি ওই কোম্পানিতে যাকে খুশি তাকে নিয়োগ দেবেন। মেজর (অব.) আখতারের অভিযোগ, এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার মানব ইতিহাসে কমই আছে।
মেজর (অব.) আখতারের গুরুতর অভিযোগ, সেনাবাহিনীকে খালেদা জিয়া তাঁর ভাইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিকীকরণ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়া এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, অধিকারবঞ্চিতের কষ্টটা কেমন। এখন তিনি কাঁদছেন।
মানুষকে জানাচ্ছেন অবর্ণনীয় কষ্টের কথা। দুবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ভালোই জানা ছিল, কোনো সরকারি সম্পত্তি কেউ কোনো নাগরিককে শুধু ব্যবহারের জন্য দিতে পারে না। তিনি উদারতা দেখিয়ে বাড়িটি আগেই সরকারকে ফিরিয়ে দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পারতেন। জাতির সামনে এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তিনি কখনোই ভালো পরামর্শ শোনেননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।