এইটা আমার পারসোনাল ব্লগ, কারো ভাল না লাগেল দুঃখিত
আবারো ধস, আবারো বিক্ষোভ। সপ্তাহের শুরুতেই ঢাকার পুঁজিবাজারে দরপতনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশের মিছিল থেকে বিএনপি'র ডাকা সোমবারের হরতালকে সমর্থনও দেওয়া হয়। দিনের লেনদেনে সূচক কমেছে ৪০৬ পয়েন্ট। কমেছে প্রায় সব শেয়ারের দাম।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক ৩০০ পয়েন্ট পতনের পরই বিক্ষুব্ধ একদল বিনিয়োগকারী মতিঝিলে সড়কে নেমে আসে। এ সময় বিনিয়োগকারীরা ডিএসই'র সামনের রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয় ও মিছিল শুরু করে। তখন মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে আর কে মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ ডিএসই ও বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) প্রধানদের পদত্যাগ দাবি করা হয়। এত বিনিয়োগকারীর ক্ষতি হওয়ার পরও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ সরকার জালিম সরকার। ডিএসই'র সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সমিতি'র পক্ষে এ সময় বেশ কিছু লিফলেট বিলি করা হয়। লিফলেটে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে বাজারে তারল্য সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। পুঁজিবাজারে দরপতনে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কয়েকদফা বিক্ষোভ ও ভাংচুর হয়। ওই ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
রোববার দেশের দুই পুঁজিবাজারেই দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক ১৭৭ পয়েন্ট কমে যায়। দিন শেষে সূচক ৪০৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ৬৭১৯ দশমিক ০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয় শেয়ার বাজার আরো পড়বে। ৫০০০ পয়েন্টের নিচে ইনডেক্স চলে আসলে অবাক হবো না, এই সম্ভাবনাও প্রবল।
রেফারেন্স লিংক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।