বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আমির হোসেন এক অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি। এর আগে তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন। আবারও দেশে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন। অল্পদিনের মধ্যে বাতাসচালিত গাড়ি দেশবাসীকে উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি জানান।
প্রাকৃতিক বাতাস শক্তিকে অটোমেটিক ফাংশনে রূপান্তর করে বিদ্যুত্ উত্পাদনের মাধ্যমে কিছু করা যায় কি-না তার ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এর মধ্যে আবার প্রাকৃতিক বজ্রপাতকে আয়ত্তে এনে কিভাবে জ্বালানির কাজে লাগানো যায় তার ওপরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমির হোসেন বলেন, আমরা শুধু মরীচিকার পেছনে ছুটছি। কারণ আল্লাহ পৃথিবীতে ৪টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়েছেন। এগুলো হলো পানি, বাতাস, সূর্য ও বজ্রপাত রশ্মি। এই বজ্রপাত অল্প সময়ের জন্য হয়।
কিন্তু এই বজ্রপাত রশ্মি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আয়ত্বে নিতে পারলে এখান থেকেও জ্বালানি কাজে লাগানো সম্ভব। তবে সর্বশেষ তার তৈরি বাতাসচালিত গাড়ি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছেন তিনি।
সর্বাধুনিক ও সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন গাড়ি চলবে বাতাসে। এই গাড়ি চালাতে লাগবে না জ্বালানি। ঘনীভূত বাতাস ট্যাংকে ভরে পিচঢালা পথ ধরে ছুটবে গাড়ি।
অন্য ১০টি গাড়ির মতো সমানতালে চলবে। এতে মূল্যবান জ্বালানি তেলের অপচয় রোধের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারী কোনো গ্যাস নির্গমনের আশঙ্কাও থাকবে না। বাতাসনির্ভর গাড়িটি হলো ৫ আসনবিশিষ্ট। গাড়ির বডি নির্মিত হবে হাওয়াই অ্যালাই দিয়ে। ওজন মাত্র ৩০০ কেজি।
অন্য গাড়িগুলো যেভাবে জ্বালানি তেল সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক থাকে, এটিতেও তেমনি থাকবে। তবে ট্যাংকে শুধু প্রাকৃতিক ঘনীভূত বাতাস ভরা থাকবে। কমপ্রেসারের মাধ্যমে এই ট্যাংকে প্রাকৃতিক বাতাস ভরতে সময় লাগবে ৮ মিনিট। প্রতি চার ঘণ্টা পর পর গাড়িটিতে কমপ্রেসারের মাধ্যমে বিকল্প পথে একটি ফুয়েল বার্নার ঘনীভূত বাতাস গরম করার মাধ্যমে বাতাসের চাপ বাড়িয়ে দেবে। এভাবে গাড়ির গতি বাড়বে।
শুধু ২৪টি পিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা ইঞ্জিন, যা চলবে শুধু এয়ার টারবাইন দিয়ে।
দূর পথ ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুব সহজ হবে এই গাড়িটি। আবার যদি এমনটি হয় রাস্তায় যানজটে পড়লে গাড়ি যাতে উড়ে চলতে পারে তারও ব্যবস্থা আছে। এই গাড়ি খাড়াভাবে শূন্যে ওঠে যেতে পারবে এবং একই সঙ্গে শূন্যে স্থির হয়ে থাকতে পারবে। রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ মাইল এবং আকাশে এর গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি প্রায়।
বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ইয়ার টারবাইনে ঘুরবে ১০০০ ওয়াটের একটি জেনারেটর। এটি সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উড়তে পারবে। চলন্ত সময়ে ডানে-বামে ইচ্ছামত ঘোরানো যাবে।
দরজাগুলো অটোরিমোট সিস্টেমে খোলা ও বন্ধ করা যাবে। সামনে-পেছনে চলাচলের জন্য অটোমনিটর ফাংশন সিস্টেম থাকবে।
যে কোনো সময় যে কোনো অবস্থায় গাড়ি চলাচলে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে হবে না। এ গাড়ি তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে মিডিয়ার সামনে চলন্ত অবস্থায় উপস্থাপন করা হবে বাতাসচালিত এই গাড়ি এমনই দাবি করলেন এর উদ্ভাবক আমির হোসেন। এই প্রযুক্তিগুলো মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বেশকিছু সূরা থেকে গবেষণা করে পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
সূত্র্ :
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।