ইন্দো-এশিয়ান নউজ সার্ভিস জানায়, ভাগিরথ এবং বাসন্তি দেবীর পারিবারিক অবস্থার কথা জানতে পেরে সাহায্যে জন্য এগিয়ে এসেছেন বলিউডের মি. পারফেক্ট এবং পাপ্পু ইয়াদভ। ইয়াদভ ইতোমধ্যে তাদের পরিবারকে এক লাখ রূপি দান করেছেন এবং প্রতিমাসে আরও ১০ হাজার রূপি করে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ইয়াদভ বলেন, “আমরা যখন ভাগিরথ এবং বাসন্তির দুর্দশার কথা জানতে পারি, তখন আমাদের খুবই খারাপ লেগেছিল। আর তাই তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেই আমি। ”
পাপ্পুর স্ত্রী রঞ্জিতা রঞ্জনের সহায়তা সংস্থা, ‘মা মাটি’র তরফ থেকে প্রতিমাসে ভাগিরথের পরিবারে সাহায্য করা হবে।
রঞ্জিতাও ভারতের সাবেক এমপি।
বিহারের গাহলুর কাছাকাছি একটি গ্রামে ষাটের দশকে স্ত্রী ফাল্গুনী দেবীকে নিয়ে থাকতেন দশরাথ মানঝি।
১৯৬০ সালে মরণাপন্ন অবস্থা হলেও কোনো রাস্তা না থাকার কারণে স্ত্রীকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি মানঝি। চিকিৎসার অভাবে ফাল্গুনি শেষপর্যন্ত মারা গেলে মানঝি সিদ্ধান্ত নেন ওই এলাকায় একটি রাস্তা নির্মানের। কারো সহায়তা না পেয়ে একাই হাতুরি এবং বাটালি নিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজে নেমে পড়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ ২২ বছর দিনরাত পরিশ্রম করে ৩৬০ ফিট লম্বা, ৩০ ফুট উঁচু এবং ৩০ ফুট চওড়া রাস্তাটি নির্মাণ করেন তিনি। ২০০৭ সালে তিনি মারা যান। তার পুত্র ভাগিরথ এবং তার পরিবার এখন ওই গ্রামেই থাকেন।
টিভি শো ‘সত্যামেভ জয়েতে’-এর কাজে মাসখানিক আগে ভাগিরথদের গ্রামে গিয়েছিলেন শোটির উপস্থাপক আমির খান। আর তখন তাদের পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরে তাদের সহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন আমির।
ভাগিরথ এবং তার স্ত্রী আমিরকে তাদের দর্দশার কথা জানান। তারা জানান কীভাবে তারা অবহেলিত হয়েছেন। এমনকি সরকার থেকেও তারা কোনো সাহায্য পাননি। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমির তাদের সহযোগিতা করার নিশ্চয়তা দেন।
ভাগিরথ এবং বাসন্তি তাদের এলাকার প্রাইমারি স্কুলে রান্না করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
তারা দুপুরে বাচ্চাদের জন্য খাবার রান্না করেন। এ কাজের জন্য তাদের মাসে এক হাজার রূপি করে দেওয়া হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।