পেশা হিসেবে ডাক্তারী জীবন সৎ ও আদর্শের। কোন ডাক্তার যদি চায় তাহলে সে সহজেই সৎ থেকে একটা সহজ লাইফ উপভোগ করতে পারে, যা হয়তো অন্য কোন পেশায় থেকে সম্ভব নয়। আর এর জন্য তাকে খুব ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি প্রাণপনে চেষ্টা করতে হয়। তারপরও দেখা যায় এত চেষ্টার ফলেও স্বপ্ন পূরণ হয় খুব কম সংখ্যক মানুষের। ছিটকে পরতে হয় তাকে ডাক্তারী পড়তে যাওয়ার সোপনের বিভিন্ন ধাপে।
যেমন এস.এস.সি তে তাকে ভালো রেজাল্ট করতে হয়, এইচ.এস.সি তে তাকে আরো ভালো করতে হয় তার পর সুযোগ আসে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার। আর এই পরীক্ষাটা যে কতটাই কঠিন যা বলতে পারবে যে পরপর দুইবার পরীক্ষা দেয়ার পরও চান্স পায়নি। এইচ.এস.সি তে পঠিত কয়েকটি বই সহ সাধারন জ্ঞান ও ইংলিশে তাকে অর্জন করতে হয় পর্যাপ্ত জ্ঞান। আর এই সমৃদ্ধ জ্ঞান নিয়ে মাত্র এক ঘন্টায় তাকে ১০০ টি প্রশ্ন পড়ে তারপর সঠিক উত্তরের ঘর পূরণ করতে হয়। এই সময়টাতেই মাথা যায় ঘলা হয়ে।
যারা মাথাটা ঠান্ডা রেখে সবগুলো উত্তর দিয়ে আসতে পারে তারাই চান্স পায়। দেখা যায় অনেকের দুটো গোল্ডেন এ+ এবং ভালো জানার পরও শুধু পরীক্ষার সময় মাথাটা ঠান্ডা না থাকার কারনে চান্স পায় না। আমার কলেজ জীবনের একটা শিক্ষকের কথা মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন তোমরা যখন বিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ কর তখন শুরু হয় মহাযুদ্ধ আর যখন এই মহাবিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করবে তখন শুরু হবে বিশ্বযুদ্ধ (বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য)। আসলেই ভর্তি পরীক্ষাটা দেয়ার সময় আমার ঐ শিক্ষক মহাদয়ের কথাটা বারবার মনে পড়ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।