সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
আবারও দম্ভোক্তি করলেন বীরেন্দর শেবাগ। আগুনে ঘি ঢালার মতো গতকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আগাম তাতিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, 'বাংলাদেশের মানুষ হয়তো ভাবছে ২০০৭ বিশ্বকাপের মতো এবারও তারা আমাদের হারাবে; কিন্তু বাংলাদেশকে হারানোর জন্য এবার আমরা প্রস্তুত। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে হারাব। এটা আমাদের প্রতিশোধের ম্যাচ।
' হাইভোল্টেজ ম্যাচে
ভারতের শুরুটা যেমন শেবাগ করলেন, তেমনি বাংলাদেশের হয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। 'হুটহাট কিছু বলে দেওয়াটা শেবাগের জন্য নতুন কিছু নয়। তিনি যা ইচ্ছা বলুন, আমরা আমাদের মতো খেলে যাব। ম্যাচের দিনই বোঝা যাবে কে প্রতিশোধ নেয়। তিনি আমাদের কাছে এমন কোনো ইম্পর্ট্যান্ট নন।
টেবিলে নয়, দেখা হবে মাঠে। '
ক্রিকেটযুদ্ধের আগেই বাগ্যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়াটা ভারতের জন্য নতুন কিছু নয়। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও এমন কৌশল নিয়েছিল তারা। আর কথা বলে বিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার স্বভাবটা শেবাগেরও বেশ পুরনো। গত বছর জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে এসেও এমনই এক বেফাঁস কথা বলে 'শিক্ষা' পেয়েছিলেন শেবাগ।
'বাংলাদেশ অর্ডিনারি টিম'_ তাচ্ছিল্যের সুরে এমন কথা বলার পরই মুশফিকুর রহিম ১০১ রান করে শেবাগের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এবারও কি তেমন কিছুর অপেক্ষা করছেন শেবাগ?
১৬ মার্চ, ২০০৭। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশকে কত ব্যবধানে হারানো যায় সে হিসাব দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। 'জানি না বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করতে পারব কি-না। যদি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাই তাহলে রান তোলার গতির দিকে মনোযোগ দেব।
' পরদিন পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে সেই ধোনি বাংলাদেশের বিপক্ষে মোহাম্মদ রফিকের বলে শূন্য রানে আউট হয়ে মাথা নিচু করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। কথাটি মনে করিয়ে দিয়ে মুশফিক বলেন, 'আসলে ভারত সেই হারটির কথা বোধ হয় ভুলতে পারছে না। এবারও একটা টেনশন রয়ে গেছে তাদের মধ্যে। হয়তো সে কারণেই আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন শেবাগ। কিন্তু এসবে কিছু যাবে-আসবে না।
১৯ ফেব্রুয়ারিই বোঝা যাবে কী হয়। '
http://www.shamokal.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।