মানবাধিকার কর্মী
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পাইপ কোম্পানি এসোসিয়েসন আছে। তারা ঠিক করল এবার বাৎসরিক ভ্রমনের গন্তব্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। আমার মামা ছিল ঐ কমিটির সভাপতি। বিশেষ কারণে তিনি যেতে না পারায় তার পরিবর্তে আমাকে পাঠালেন তার প্রতিনিধি করে। একটা প্রতিষ্ঠানের প্যাকেজে আমরা যাত্রা শুরু করি মাওনা চৌরাস্তা থেকে।
কথা ছিল একজন গাইট থাকবে সর্বক্ষন আমাদের সাথে। যিনি আমাদেরকে থাকা খাওয়াসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখাবেন। কিছুদুর যাওয়ার পর( জয়দেবপুর বিশ্ব রোড ) গাইড নেমে গেলেন। কথাছিল কুমিল্লার মমতাজ হোটেলে আমাদের সাথে একত্রিত হবেন । কিন্তু পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১টার দিকে কক্সবাজার শহরে পৌছলেও আমরা আর তার দেখা পাইনাই।
এদিকে খুদার জ্বালায় আমাদের সকলের মেজাজ ৪৯ হয়ে আছে। ওখানে গিয়েও দেখি আমাদের জন্য রান্নার কোন ব্যবস্থাই করা হয়নাই। নিজেদের মত করে খেয়েনিলাম। আমাদের দলপতি, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান পড়লেন মহা চিন্তায়। কারণ প্রায় সমস্ত খরচের টাকা আগেই গাইটকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অনেক কলাকৌশলের পর রাত ১০টার দিকে গাইট আমাদের কাছে এলেন কিন্তু তার মেজাজ গরম। কারণ তার নামে কয়েক জায়গায় ইতিমধ্যে নালিশ দেওয়া হয়েছিল। এ দিকে আনন্দ ভ্রমন যে কষ্ট ভ্রমনে পরিনত হয়েছিল সে কথার কোন বালাই নেই তার কাছে। অবশেষে তার পক্ষের অন্য দু জন লোক এসে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে বাদ দিয়ে নতুন দু জনে আমাদের সকল দ্বায়-দ্বায়িত্ব নিলেন। এবং আমাদের মধ্যে সস্থি ফিরে এল।
হায়রে কক্সবাজার ভ্রমন ! অনেক দিন মনে থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।