আল বিদা
Click This Link
তাদের নিয়েই পরদিনের যাত্রা 'সেইন্টমার্টিন' .................
ভোর ৬ টায় কক্সবাজার হোটেলে চেক আউট করে আমরা রওয়ানা হলাম স্বপ্নের সেইন্ট মার্টিন। আমাদের ৩ বন্ধুর বউরই শর্ত ছিল সেইন্টমার্টিন নিয়ে যাওয়ার। কক্সবাজার লালদীঘি থেকে বাস ছাড়ল। আমাদের সাথের বিশিষ্ট অতিথিরা হচ্ছেন তানিয়ার (আরিফের বউ) ফ্যামিলি। আমাদের আনন্দ আসলেও বেড়ে গেল তাদের পেয়ে।
টেকনাফ পৌছাই ৯ টায়। কিছু খেয়ে ৯.৩০ টার কেয়ারী সিন্দবাদ আমাদের নিয়ে চলল সমুদ্রকন্যার কাছে। প্রথমে নাফ নদী তারপর বঙ্গোপসাগর। পুরো পথ শিপের ক্যাপ্টেন বর্ননা করতে লাগলেন সেইন্টমার্টিন এর ইতিহাস। তার কন্ঠে এই দ্বীপের জন্য তার প্রেম ঝরছিল।
পথে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুটোই দেখা হল। আবার বলতে হল 'ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা'। বেলা ১২.৩০ টায় সেইন্টমার্টিন পৌছাল। আমরা প্রিন্স হোটেলে ব্যাগ রেখে সোজা বীচে দৌড়। এই হোটেলের সাথেই বীচ।
গুরু এখানেও তার ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত। ব্যাপারটা খুব প্রসংশার। তাই ও একটু পরে এল। তানিয়ার বাবা-মা রা ঐদিনই ফিরবে বলে বেশী দেরী না করে হোটেলে ফিরলাম। গুরু বুদ্ধি করে বীচে যাওয়ার আগে তাদের জন্য খাবারের অর্ডার দিয়ে গিয়েছিল।
তারা খাবার খেয়ে রওনা হলে আমরা আবার বীচে। তবে আরিফ এই শোকে ঘুমাতে গেল।
বিকেলে বেরুলাম দ্বীপ দেখতে। এখানে আমরা গাইডের মত পেলাম দ্বীপবালক 'ইরফান' কে। হুমায়ূন আহমেদ আমাদেরকে প্রথম সেইন্টমার্টিন এর পরিচয় দিয়েছিলেন।
তার 'সমুদ্র বিলাস' আমার কাছে তাই একটা দ্রষ্টব্য। সূর্যাস্ত দেখে হেটে হেটে হোটেল এলাম। তানিয়ার আগ্রহে রাতে হল বারবি কিউ। কিছুটা রাত হলেও বারবি কিউ অসাধারন লাগল। খাওয়ার পর গুরু বউ বাচ্চা নিয়ে ১২ টার সময় গেল রাতের বীচে।
আমরা দিলাম ঘুম। তার আগেই প্ল্যান হল ছেড়াদ্বীপ যাওয়ার।
আগামী পর্বে ছেড়াদ্বীপ যাওয়ার বর্ননা দেয়ার চেষ্টা করব। আমি জানি না ঐ বর্ননা দিতে পারব কিনা।
(এই প্রথম আমার গুরুর ছবি পোস্টাইলাম।
তার অনুমতি ছাড়াই। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।