আল বিদা
Click This Link
পরদিন গেলাম কক্সবাজারের অন্যদিকে ..........................
পরদিন ভোরে সমুদ্রে দাপাদাপি করে ১০ টার দিকে রওনা হলাম হিমছড়ি - ইনানী বীচ। একটা খোলা জীপ রিজার্ভ নিয়ে নিলাম। ইনানী একটু দূরে তাই প্রথমে ইনানী গেলাম আর ফেরার পথে হিমছড়ি নামব ঠিক হল। ইনানী যাওয়ার রাস্তা খুবই ভাল। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র।
গুরু যথারীতি তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে থাকল। আমরা সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়েই গেলাম।
ইনানী বীচে পৌছে ড্রাইভার তাড়া দিলেও গায়ে মাখলাম না। কিন্তু মাখলাম প্রচন্ড রোদ। প্রথমেই ডাব খেলাম তৃষ্ঞা মেটাতে।
ফাও হিসেবে পেলাম ডাবের শাস। আরিফরা পানিতে নামল না। গুরুরা হাটু পানিতে হাটাহাটি করল। আমি আর লীমা (বউ) পানিতে ডুবাডুবি করলাম। একটা পাথরে পা লেগে আমি ব্যালেন্স হারায় কিছুটা কেটেও গেল।
তাই আর এই পানিতে না থেকে তীর ধরে সবাই হাটতে থাকলাম। বীচে একটা ফ্রীসবী পেয়ে আমরা কিছুক্ষন খেললাম। বীচে গুরু প্রান জুস কিনল। প্রান কোম্পানীর জন্য তার একটা এক্সট্রা দরদ আছে। এবার রওনা হলাম হিমছড়ি।
হিমছড়িতে আরিফরা আগে একবার যাওয়াতে এবার আর পাহাড়ে উঠল না। আমরা আর গুরুরা প্রথমে ঝর্নায় গেলাম। অনেকে সেই পানিতে মুখ ধুচ্ছে কেউ বোতলে পানি নিচ্ছে। আমি গুরু আর ধ্রুব স্ট্রেইট ঝর্নার নিচে দাড়ায় গেলাম। আহা কি শান্তি।
লীমা আর ভাবী কিছু ছবি তুলল। হিমছড়ির পাহাড়ে উঠতে কিছু কষ্ট হল। উপর থেকে রাস্তা আর সমুদ্র দেখতে অপূর্ব লাগে। বিশাল সমুদ্রে শুধু একটা নৌকা। দূরের বীচ দেখতেও ভাল লাগে।
পাহাড় থেকে নামাটা একটু রিস্কি।
এরপর হোটেলে ফিরে আসলাম । বিকেলে আমাদের এক সম্মানিত অতিথি পরিবার আসলেন। তাদের আগমনে আমরা আনন্দিত। কারন আমাদের এক বেলা খাবার খরচ বেচে গেল।
তাদের নিয়েই পরদিনের যাত্রা 'সেইন্টমার্টিন'।
(সব ছবি ইনানী বীচের)
(আমি কি আর লিখবঅঅঅ?)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।