পরোপকারী হিসেবে সুনাম আছে ‘মুন্নাভাই’ তারকা সঞ্জয় দত্তের। অস্ত্র মামলায় পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে সাজা খাটছেন বলিউডের এ তারকা অভিনেতা। সেখানে কাগজের ফাইল তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষকে দাপ্তরিক কাজেও সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন সঞ্জয়।
ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে অন্য বন্দীদের তুলনায় সঞ্জয়ের পড়ালেখার যোগ্যতা ঢের বেশি।
দৈনিক মাত্র ২৫ রুপি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাগজের ফাইল তৈরির কাজ পেয়েছেন সঞ্জয়। তিনি কাজের ফাঁকে প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে স্ত্রী ও কাছের বন্ধুবান্ধবকে চিঠি লিখছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজে লাগাতে কারাগারের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজেও সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
এর আগেও সঞ্জয়ের পরোপকারী স্বভাবের প্রমাণ মিলেছে।
তাঁর বাড়িতে ৩২ জন কর্মচারী আছেন। তাঁদের সঙ্গে দারুণ হূদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক সঞ্জয়ের। ভালো আচরণের পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই মনিবের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ পান তাঁরা। গত বছর সঞ্জয় অভিনীত ‘অগ্নিপথ’ ছবিটি দারুণ ব্যবসা করে। ছবিটির ঝুলিতে জমা পড়ে প্রায় ২০০ কোটি ভারতীয় রুপি।
এই খুশিতে সঞ্জয় তাঁর ৩২ জন কর্মচারীর প্রত্যেককে ২৫ হাজার রুপি বখশিশ দিয়েছিলেন। শুধু বাড়ির কর্মচারীদেরই নয়, বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায়ই ছবির দলের সদস্যদেরও তিনি চার থেকে পাঁচ হাজার রুপি বখশিশ দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া, গত ৫ জুলাই সঞ্জয় অভিনীত ‘পুলিশগিরি’ ছবির মুক্তির আগে তাঁর অনুরোধে একটি দাতব্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ছবিটির প্রযোজকেরা। এ অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় করা হয় ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের জন্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।