পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে আজ সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) এক বিশেষ আদালত লালুকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস) জানায়, বিহারের পশু খামার বিভাগের তহবিল থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ অবৈধভাবে তুলে নেওয়ার আপরাধে লালু প্রসাদ যাদবসহ ৪৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রায়ের পর ৬৫ বছর বয়সী লালুকে রাঁচির বীরসা মুণ্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। লালুসহ ৩৭ জনের সাজা নির্ধারণের জন্য আদালত আগামী ৩ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
তবে দোষীদের আটজনের সাজা আজ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বিহারের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের অপরাধ প্রতিরোধ আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সিবিআইয়ের এক আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় অভিযুক্ত ৪৫ জনকেই বিশেষ আদালতের বিচারক প্রভাষ কুমার সিং দোষী বলে চিহ্নিত করেছেন। ’ দোষীদের মধ্যে বিহারের কংগ্রেসদলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং জনতা দল-সংযুক্তের বিধায়ক জগদীশ শর্মাও আছেন।
দোষী ব্যক্তিরা চাইবাসা জেলার তহবিল থেকে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ রুপি অবৈধভাবে তুলে নেওয়ার দোষে দুষ্ট।
২০০০ সালে বিহার রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পর চাইবাসা জেলা ঝাড়খন্ড রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার কিছু অংশ নতুন রাজ্যে বিচারাধীন।
আদালত আজ আটজন দোষীকে তিন বছর করে কারদণ্ড ও ৫০ হাজার থেকে ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সাবেক আইনপ্রণেতা ধ্রুব ভগত ও পশুসম্পদ বিভাগের সাবেক সচিব কে আগুমুগাম।
লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজস্বী আজ প্রতিবেদকদের জানান, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।