আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেলে সাত কোটিপতি চুরের ঈদ ,লুল রে লুল !!!!

তাশফী মাহমুদ তারা কোনো রাজনীতিবিদ নন। নন কোনো সমাজসেবক। বৈধভাবে কোটি টাকার মালিকও নন। কিন্তু তারা কোটিপতি। জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তারা হয়েছেন কোটি টাকার মালিক।

আত্মসাতের অভিযোগে এমন সময়ই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যখন ঈদ সমাগত। তারাও গ্রেফতার হয়েছেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। এই ৭ কোটিপতি হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারী হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, গ্রুপের জিএম তুষার আহমেদ, ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীন, পরিচালক দিদারুল আলম, ডেসটিনি ২০০০ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, সোনালী ব্যাংকের শেরাটন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুল রহমান। ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।

তাকে সম্প্রতি আদালত জামিন দিয়েছেন। ওই সাত কোটিপতি এবার জেলে ঈদ করবেন। এদের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের তিনজন সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি হয়েছেন। টাকা আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে কোটিপতি হয়েছেন সোনানী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান। এছাড়া টাকা আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী অপর সহযোগী সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীর কোটিপতি হয়েছেন আত্মসাৎ করা টাকার বিপরীতে উপরি নিয়ে।

তিনি এখন দুদকের দায়ের করা ১১ মামলায় পলাতক আসামি। ডেসটিনির ওই তিন ব্যক্তি আমানতকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে হয়েছেন কোটিপতি। জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে এরা করতেন বিলাসবহুল জীবন যাপন। কোনো কমতি ছিল না তাদের। রফিকুল আমীন বেতন পেতেন প্রতি মাসে ৬৮ লাখ টাকা।

এসব টাকার অংশ তারা বিদেশেও পাচার করেছেন। এদের প্রত্যেকের জন্যই আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যে নতুন জামা কাপড় পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলে। মাঝে মধ্যে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী খাবারও দিচ্ছেন। এদের প্রত্যেককে জেলখানায় আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের দায়ের কারা মামলায় বর্তমানে হলমার্ক গ্রুপের ৩ জন ও সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা কারাগারে রয়েছেন।

রিমান্ডের মেয়াদ শেষ না হলেও ঈদের ছুটির কারণে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- হলমার্ক গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও মহা-ব্যাবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যাবস্থাপক (ডিজিএম) ও রূপসী বাংলা শাখার সাবেক ম্যানেজার এ. কে. এম. আজিজুর রহমান। এদের মধ্যে হলমার্কের তিনজনকে রাখা হয়েছিলো রাজধানীর রমনা থানায় আর সোনালী ব্যাংকের আজিজকে রাখা হয়েছিলো পল্টন থানায়। স্বামী তানভীর ও স্ত্রী জেসমিন ছাড়াও জেসমিনের ভগ্নিপতি তুষারও থাকতেন ওই থানায়। বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে চৌদ্দ শিকের ভিতরে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটে তাদের।

প্রতিদিন তাদের জন্য সরকারের বরাদ্দ ৭৫ টাকার খাবার। মহিলা হাজতখানায় থাকতেন জেসমিন আর স্বামী তানভীর থাকতেন পুরুষ হাজতখানায় । আর থানা তাদের জন্য সব সময়ই গরম থাকতো। যারাই থানায় আসতেন হলমার্কের কথা শুনলেই তারা গালাগালি করে তাদের ধিক্কার দিতেন। দুর্বল অবকাঠোমোর মধ্যদিয়েই তাদের এতদিন দুদকে ইন্টারগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ঈদের পর তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জেসমিনের রিমান্ড ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, ঈদের পরে জেসমিনকে আবারও অন্য মামলায় রিমান্ডে এনে দুদকের ইন্টারগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ডেসটিনির এমডি এবং পরিচালককে জেলে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে টাকা পাচারের দায় স্বীকার করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।