It is too much tough to lead a very simple life
সকাল বেলা খবরের কাগজ পড়ার সময় শিরোনামটি দেখে একটু থমকে গেলাম। তারপর মনোযোগ দিয়ে ভিতরের অংশটুকু পড়লাম। আমেরিকাদের অনেক প্রশংসনীয়(!) কাজের পদক্ষেপ আমরা জানি। তাই বলে নিরাপত্তার স্বার্থ দেখিয়ে এরকম কাজও মানুষ করতে পারে? তাও আবার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে?
খবরটি হুবহু তুলে দেয়া হল:
শাহরুখ খানের পদবি নিয়ে সমস্যা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রদূত মীরা শঙ্কর পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর দেহ তল্লাশি করা হয়েছে, পাগড়ি খুলতে বলা হয়েছে এক ভারতীয় কূটনীতিককে। প্রতিটি ঘটনার পরেই রুটিনমাফিক 'ক্ষমাপ্রার্থী' হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বলা হয়েছে, বিদেশিদের সম্মান রক্ষায় আরো 'শিক্ষিত' করা হবে নিরাপত্তাকর্মীদের। তবে অতীতের 'ভুল' থেকে যে মার্কিন প্রশাসন ও নিরাপত্তাকর্মীরা শিক্ষা নিচ্ছে না, কিছু ভারতীয় পড়ুয়ার পায়ে 'বেড়ি' পরিয়ে তা আবারও প্রমাণ করল তারা।
৯/১১-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য অপদস্থ হওয়ার চূড়ান্ত নজির দেখছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রাই-ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে বিদেশিদের ছাত্র 'সাজিয়ে' যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ করে দিচ্ছে তারা। অভিবাসন-সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের দাবি, বেআইনিভাবে 'স্টুডেন্টস ওয়ার্ক পারমিট' বের করে শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় চাকরি করছেন।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও সন্দেহের ঊধর্ে্ব নন। তাই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পায়ে রেডিও-কলার পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা যায়। তাঁদের 'অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চলছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ গতকাল রবিবার এ ঘটনাকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে অভিহিত করেন।
মন্ত্রণালয় ভারতে নিয়োজিত মার্কিন উপরাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ ব্যাপারে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে সব কিছু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার কথা জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেছেন, জাল ভিসার সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
লিঙ্ক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।