সাংবাদিক, শিক্ষক
মহেশপুর উপজেলার ১টি পৌর সভা ও ১২টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ইরি বোরো ধান চাষের ধুম পড়ে গেছে।
কৃষকরা ধানের মূল্য বেশি পাওয়ায় ইরি বোরো ধানের চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে । উপজেলার বিভিন্ন বিলে ও মাঠে দেখা গেছে কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দেখলে মনে হয় তারা যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। গ্রাম বাংলার চিরা চরিত এই দৃশ্য বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সৃষ্টি করেছে এক নতুন মাত্রা।
মাত্র ৩ মাসের এই ফসল সবুজের সমারোহে ভরে উঠবে বিস্তীর্ণ মাঠ। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইরিবোরো ধানের চাষ হবে। রোপণ কাজ যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আর কয়েক দিনের মধ্যেই রোপন কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। মহেশপুর উপজেলার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই উপজেলাকে খাদ্য ভান্ডার হিসেবে ধরা হতো, কারন উপজেলার খাদ্যের চাহিদা মিটেয়ে শ’শ টন খাদ্য বাইরের জেলায় রপ্তানী হতো।
বর্তমান উপজেলায় ডিজেল চালিত সেচ যন্ত্র ছাড়াও প্রায় ৩শ’ বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প রয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ফলে চাষীরা একটু হিমশিম খেলেও তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষকগন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা মিনিকেচি, কাজললতা, ছাব্বিশ, লালস্ববর্ণ ধানের চাষ বেশি বলে জানিয়েছেন। কারন চিকন চালের কদর বেশি হওয়ায় এবং দাম বেশি পাওয়ার কারনে বানিজ্যিক ভাবে চিকন ধানের চাষের দিকে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষি অফিস জানিয়েছেন প্রাকৃতিক দূর্যোগে যদি তিসাধন না হয় তাহলে, এবারও মহেশপুর উপজেলায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।