আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহেশপুরের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে শীতের পিঠা উৎসব এখন ভোলেনি

সাংবাদিক, শিক্ষক

মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে গৃহিনীরা শীতে পিঠা পুলির উৎসব এখনও ভোলেনি। শীত আসলেই তাদের মনে পড়ে যায় চালের গুড়ো তৈরী করে বিভিন্ন পিঠা বানানোর কথা। বছরে একবার যেন এই পিঠা তৈরী করতে না পারলে গৃহিনীরা মনে করেন কি যেন এবার শীতে হলোনা। প্রচন্ড হাঁড় কাপানো শীতের মধ্যে কাক ডাকা ভোরে উঠে গৃহিনীরা ব্যস্ত হয়ে যায় চালের গুড়া তৈরী করতে। ওই গুড়া দিয়ে তৈরী করেন নানান রকমের পিঠা, যা দিয়ে সংসারে ছেলে মেয়ে আতœীয়স্বজন মা বাবা শ্বশুর শাশুড়ি সহ বিভিন্ন জনের মেহমানদারি করা হয়ে থাকে।

তাছাড়া কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি চালের গুড়া তৈরী করা ঢেঁকি। এখন আর স্বচার আচার কারো চোঁখে পড়ে না। গ্রাম গঞ্জে খুব একটা দেখা যায় না। যারা চালের গুড়া তৈরী করেন তারাই এখনও ঢেঁকি বাঁচিয়ে রেখেছে। বিজ্ঞানের যুগে মেশিনে তৈরী চালের গুড়া দিয়ে পিঠা তৈরী তেমন একটা ভাল স্বাদ লাগে না ।

কিন্তু ঢেঁকিতে তৈরী চালের গুড়ার তৈরী পিঠার মজাই একটু আলাদা । ঢেঁকিতে তৈরী চালের গুড়া দিয়ে রসের পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, নারিকেলের পিঠা, চন্দ্রপুলি পিঠা এবং কাঁচিপোড়া পিঠা মানুষের মধ্যে এখনও প্রিয় পিঠা হিসেবে রয়েছে। এই জন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে ঢেঁকি এখনও চালের গুড়া তৈরীর উন্নত মেশিন। তবে বিজ্ঞানের যুগে এসে মানুষ ঢেঁকির ব্যবহার অনেক কুমিয়ে দিয়েছে। যার কারনে গ্রাম গঞ্জে ঢেঁকি পাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।