১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়,যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভ তার ১১০০ সৈন্যের বিরুদ্ধে যক নবাবের ৫৫০০০ সৈন্য দেখলেন তখন রবার্ট ক্লাইভ অনেকটা হতাশ হয়ে এক আম গাছের তলায় পড়েছিলেন । প্রায় আড়াই ঘন্টা একজন চিৎকার করে এসে বলল, মীর জাফরের বাহিনী যুদ্ধ করবে না ।
তারপরের কাহীনি তো জানেন ই আপনারা ................. বেঈমানী ।
একটি জাতির ভাগ্য ২০০ বছরের জন্য পরিবর্তিত হয়ে গেলো । আমার জানা মতে পলাশী যুদ্ধের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৪-৫ ঘন্টা ।
রবার্ট ক্লাইভ লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে এক বার্তা পাঠিয়ে বলে ছিলেন, “ যুদ্ধে যদি নবাবের প্রত্যেকটি সৈন্য একটি করে ঢিল আমাদের দিকে ছুড়তো তাহলে আমরা কেউ প্রানে বেচে আসতে পারতাম না”...
৭৬ এর মনন্তরে উইলিয়াম হান্টার তার “এনালস্ অফ রুলাল বেংগল” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেন...” কলকাতা ও মুর্শিদাবাদের মত বড় বড় শহরের বড় বড় দোকানগুলোতে থরে থরে নানারকম উপাদেয় এবং রসাল খাবার সজ্জিত রয়েছে । কাঠের আলমারি থেকে সেগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । অথচ দোকানে বাইরে শ শ মানুষ না খেয়ে মরে যাচ্ছে” । হান্টার সাহেব প্রশ্ন করল,এই লোকগুলো তো মারাই গেলো কিন্তু মারা যাওয়ার আগে দোকানের খাবার গুলো লুট করে খেয়ে নিল না কেন?? ইউরোপ ভূখন্ডে এ দৃশ্য কল্পনা করা যায় না । হান্টার সাহেব নিজেকে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে সম্ভব ??? বাঙ্গালিরা রকম কেন,তারা নির্দিধায় দুঃখ দুর্দশা মেনে নেয় কেন?? জবাবটা হান্টার সাহেব নিজেই দিয়েছিলেন ।
এই লোকগুলোর মধ্যে ললহনো জাতিয়তাবাদী ভাবধারা জন্ম লাভ করে না ।
এতক্ষন সহ্য করে কাহীনি অবলোকন করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ । বিরক্ত করছি না তো ?? এটাও কেন জানি বার বার উপল্বধি হচ্ছিলো কথাগুলো লিখতে গিয়ে ।
আমার প্রশ্ন আসে আমরা কি,কোন জাতি??
বাঙ্গালি,বাংলাদেশি,মুসলমান বাঙ্গালি,মুসলমান বাংলাদেশি,সাম্প্রদায়িক বাঙ্গালি,অসাম্প্রদায়ীক বাঙ্গালি???...
এখন হয়ত একটু খটকা লাগতে পারে,কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি/? আমরা তো হালায় সব ঘাটের পানি ই খাইছি এবং খেয়ে যাচ্ছি। যুদ্ধের সময়টার কথা চিন্তা করলে কিন্তু নির্দিধায় বলা যায়, আমরা বাঙ্গালি কারন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ।
আবার অনেকে মাতৃভাষা বাংলা হওয়ার কারনেই নিজেকে বাঙ্গালি বলি । কিন্তু ভারতের বাঙ্গালিদের কথা চিন্তা করলে উল্টো ইয়ে যায় ,আমার কাছে তাদের সাথে আমাদের বাঙ্গালিত্বের কোন মিল পাই না । আবার তাদের দেশের সংবিধান মতে তারা বাঙ্গালি ক্যাটাগরির মধ্যে পরে না যদিও তারা বাংলা পারে । সবাই মনে করলেও আমি না । আমি জেনেই বলছি, না জানা থাকলে নিজ দায়িত্বে ভারতের বাঙ্গালিদের খাইষ্টামি জেনে নিবেন যারা সবসময় আমাদের সাথে বেঈমানি সুলভ আচরন করেছে এবং এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছে তলে তলে।
তসলিমা নাসরিন ও ভারতের আনন্দবাজার প্রকাশনার উপর কেউ যদি কোনো কাহিনী পড়ে থাকেন তাহলে ব্যাপারটা খোলাসা হবেই হোন্ডার সাইলেন্সার খোলার পর যে ভুরুম ভুরুম আওয়াজ হবেইইইই এরকম ধ্রুব সত্য ।
...
আগের ট্র্যাকে আসি ।
একমাত্র বাংলা ভাষা মাতৃভাষা হওয়ার কারনে আমরা বাঙ্গালি এইটা আমি মানতে চাচ্ছি না (এতদিন তো ভালোই ছিলাম এখন আবার কি হনুরে??)। আমি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারি, না হয়ে উপায় নাই । আবার মাইর ও পিঠে যোগাড় হতে পারে, তবে সম্ভাবনা কম ।
টাক পড়ার উপক্রম মাথা,লম্বা চুল ঝুটি বাধার মতন,চোখে -২.৫ পাওয়ারি চশমা,গরমের তাপদাহে উদাম গায়ে কোয়ারতার প্যান্ট পরে যখন আমি এই কথাগুলো লিখছি এবং ডিজিটাল এবং যুগ হ ওয়ার কারনে যেখানে আমার এই ফালতু পেচাল গুলা প্ত্রিকায় একটা জায়গার না আশা করে ফেসবুকে নোটের মাধ্যমে আমার বিশ্বাস করার মত বিশ্বাসযোগ্য হাতে গোনা কিছু সো কলড্ বন্ধুদের ট্যাগে ট্যাগান্বিত করে আমি বলতে চাই..
আমরা বাঙ্গালি---
লারন আমাদের পেছনে একটা গৌরবময় ইতিহাস আছে । বশ্যই বাঙ্গালির ইতিহাস ।
আমরা বাঙ্গালি----
কারন অনেক কঠীম মূহুর্তে আমরা এক হতে পারি অন্তঃত দেশের জন্য যখন কেউ আমাদের বাঙ্গালিত্বে কেউ আঘাত করতে চায় । শুদুই বাঙ্গালিত্বে । অন্য কোনো বিষয়ে নয় ।
কারন অতীত বর্তমান যদি মিলাইতে যাই সেখানে বাবরি মসজিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক হিন্দু মুসলিম সংঘাত ,খুনাখুনি ,লুটপাট হয়েছিলো । তখন সবাই বাঙ্গালি ই ছিলো, আর সংঘাত টা হয়েছিলো ধর্ম কে কেন্দ্র করে । বাঙ্গালিত্বের শানসৌকতের কথা চিন্তা করে এমনটী হত না আশাকরি । এবার একটা ১ এ ফিরে গেলে দেখা যাবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য যারা বাঙ্গালি খেতাব প্রাপ্ত সেখানে সবাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, এক হয়েছিলাম ।
আমরা বাঙ্গালি---
কারন আমরা এক গুয়ে ,এক রোখা , নিজেদের ব্যাপারে কিন্তু সকল মত এক হয়ে নয়।
(বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করুন)
আমরা বাঙ্গালি---
কারন এখানে অনেক ধর্মভীরু আছে, আবার ধর্মকে কটাক্ষ করার অনেক সার্কাস পার্টী আছে (অতি শিক্ষিত পার্টি)। মাঝে মাঝে এই অতি শিক্ষিতদের মাঝেও কুসংস্কার দেখা যায় । এই সুযোগে আমি একটা কথা না বলে পারছি না... বলেই ফেলি..
“কমিউনিস্টদে ব্যক্তিগত ত্যাগ তিতিক্ষা এত অধিক যে শ্রদ্ধা না করে পারা যায় না, কিন্তু তারা যে মিথ্যার চর্চা করেন, তারজন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত হওয়ার প্রইয়োজন তারা আদৌ অনুভব করেন না”..
কি বুঝলেন??
আরো ঢালাওভাবে বাঙ্গালির সঙ্গা দিতে গেলে অনেক Critical ব্যাপার বঢুকে যেতে পারে,ঢুকাইতে ও চাই না, গোবর মস্তিষ্কে এত কিছু নিয়া আলোচনা ঠিক হবে না ।
* এখন পর্যন্ত লেখার সময় বন্ধু ফোন করে বলল সাঈদীর ফাসির রায় হয়ে গেছে । অবাক হইলাম না, অবাক হইলাম কেমতে অফিসে যামু? আগে থেকেই আইডিয়া আছে রায় যেদিকেই যাউক কোপানি মিস হবে না,আশাকরি হয় নাই... ফেফে
পরিশেষ বলতে চাই যদিও শেষ শেষ করতে করতে কাহিনী বানায়া ফেললাম ।
আর মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় বোঝাতে গেলে রাম শাম যদু মধু’র গল্প ও শুনতে হয় শুনাইতে হয় । যেমনি টাকা টাকা আছে,তেমনি গল্প কাহিনীর বাস্তবতা আনে আমরা বাঙ্গালি জাতি এতে কোনো সন্দেহ নেই,ইতিহাস মোতাবেক । আর সত্যিকারের বাঙ্গালি হতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে একটু সুখে খেয়ে পরে বেচে থাক তে হলে নিজেদের মধ্য জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলা সবার আগে জরুরী । ধর্মের দিকে তাকালেই আর হবে না,এটাকে পাশেই রাখতে হবে । তারমানে এই নয় যে আমাদের যার যার ধর্ম থেকে আমরা বিচ্যত হয়ে যাবো ? সেটা কখনোই হবে না ।
মতের মধ্যে ধর্ম আনলে তো কিছুরি সমাধান হবে না, দেখতেই তো পারছেন নিজের চোক্ষের সামনে , বাঙ্গালি বাঙ্গালি রক্তের খেলা যেটা স্পষ্ট একমাত্র ধর্ম । আমি সেকুলারিজমের কথাও বলছি না যেখানে আমি নিজেই একটি ধর্মের উপর দাড়িয়ে, ইনশাল্লাহ যাতে থাকতে পারি এবং অন্য ধর্মাম্বলীদের ও থাকার কথা বলি ।
দেশের স্বার্থে কাজ করতে গেলে ধর্ম বর্ন এই ব্যাপারগুলা দূরে রাখাই ভালো,দুরে রাখা এই জন্য ভালো কারন ইতিহাস ঘাটলে পরিষ্কার যেখানে এখন পর্যন্ত কেউ নির্দিষ্ট(ধর্ম) ভাবে কিছুই চাপিয়ে দিতে পারে নাই । আশা করি না পারুক । আমি শান্তি চাই ভাইয়ে ভাইয়ে (কথার ভিতরে বোন ও আছে,অন্তরে) ।
এই জন্য আশা করি না অতীত থেকে যা কিছু হাঙ্গামা হচ্ছে সব হচ্ছে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীদের কারনে যারা তো নিজের ধর্মই ঠীকভাবে মানেন না উল্টো বিজনেস আর ধর্ম ব্যবহার করে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য পায়তারা চালিয়ে যায়,যাচ্ছে...
তাই জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠা জরুরী যেখানে যার যার ধর্ম নিয়ে সে সে থাকনে । যেটা অদূরে সম্ভব হবে কিনা কে জানে?? শুধু মিষ্টীর মন্ডা খাইতেছি এইটা কল্পনা করাও দোষের কিছু না, কি বলেন??আমি আগেই বলেছি বাঙ্গালি বড় এক রোখা,এক পেশে চিন্তার মানুষ.
হঠাত করে একটা কথা মনে পড়ে গেলো, কে বলছে এই কথা জানি না তবে আমি যদি প্রথম বলতে পারতাম তাহলে বুক ফুলানোর ইমো হত । কথাটা হল ...”১০০ জন বাঙ্গালি এক হয়ে ১০০ টা মত দিতে পারে কিন্তু কেউ ই এক মতে উপনীত হতে পারে না”.... অবাক হওয়ার কিছুই নাই আরো আছে, আরেক বড়ভাই আছে ফেবুতে যার স্ট্যাটাসগুলার বড় ফ্যান আমি কিন্তু তারে বুঝতে দেই না তাই আমি উনারে আমার ফ্রেন্ড লিস্টে রাখি নাই ,অবাক হওয়ার কিছুই নাই । উনি কি বলছে দেখেন ...” বাঙ্গালির স্বভাব পাছার মত যাহা সর্বদা দুই ভাগে বিভক্ত”....ফে ফে
আমি কিন্তু বদলানোর জনয এই কথাগুলো শেয়ার করি নাই,আমি জানি আল্লাহ আমাকে এই শক্তি দেয় নাই,শধু বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজের ক্ষোভগুলো নিজের উপর ঝারলাম অন্যের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে ।
*** আমি এই কথাগুলো লেখার সময় একটো মনে হয়নি আমি বাঙ্গালি, মনে হয়েছে মাই বাংলাদেশি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।