শীতের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে অবস্থানের আজ দ্বিতীয় দিন। বড় ভাইয়ের ল্যাপটপে সমস্যা। তাই আইডিভি ভবনে নিয়ে যেতে হবে। যথারীতি চলে যাওয়া।
এগারটায় রায়হান কম্পিউটারের সাভির্সিংয়ে গেলাম। বলা হল আজই বিকাল চারটার পরে একবার ফোন দিতে যদি সম্ভব হয় তাহলে আজকেই ডেলিবারী দেয়া হবে। এদিকে আবার বড় ভাইয়ের নির্দেশ ছিল আজকেই যেন ল্যাপটপটি আনা যায়। সময়টা কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ঘুড়তে গেলাম। একটানা পাচ ঘন্টা ঘুড়ে ঘুড়ে মেলা দেখলাম।
সাথে কেউ থাকলে অবশ্য ভালো হতো। আর এটি পরিকল্পিত নয় যে বন্ধুদেরকে সাথে করে নিয়ে আসব। অনেকটা ফাকা মাঠে গোল করার মত।
একা একা নিজেই পুরো মেলাটি ঘূড়ে দেখলাম। আমি ছিলাম দর্শনার্থী, ছিলাম না ক্রেতা।
শুধু স্টল আর প্যাভিলিয়ন ঘুড়ে ঘুড়ে দেখা। মেলায় অনেক নতুন পণ্যের দেখা মিলল। দেখেই তৃপ্ত হয়েছি। আমার কাছে বেষ্ট ওয়ে, শতরঞ্জিসহ বেশকটি প্যাভিলিয়ন খুব ভালো লেগেছে। তাদের প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাঠামো আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এখানে রয়েছে শিশুদের খেলার ব্যবস্থা। শিশুসহ অনেকেকই দেখলাম রাইডগুলোতে চড়তে। আমিও দেখে পুলকিত হয়েছি। আরো ভালো লেগেছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কিচুক্ষণ’ এর প্যাভিলিয়নটি দেখে। এখানে শেখ মুজিব এর নানা সময়ে বিশিষ্ট ব্যা্ক্তির সাথে তোলা ছবি, আন্দোলনরত অবস্থায় থাকা ছবি টানানো হয়েছে।
দেখে ভালই লাগে। আর মনে জাগে বর্তমান সময়ে আরো একটা মুজিব দরকার এই দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক মুক্তির জন্য। তবেই এদেশ উন্নত দেশ হতে পারবে। তানা হলে এই দেশ এর পরিবর্তন বর্তমান রাজনীতিক সংগঠনের দ্বারা আদেৌ সম্ভব হবে না।
মেলার নাম রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।
শুধুমাত্র পাকিস্তান, ভারত, ইরান, এশিয়ান এর কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ছিলবলেই আন্তর্জাতিক বলা হয়েছে। দিনটি ছিল জুম্মার দিন। তাই মেলার ভিতরেই নামাজ আদায় করি। এটিই আমার জীবনে প্রথম আর্ন্তজাতিক মেলা, দর্শনার্থী হিসেবে আসা। বয়স আমার ২১ চলছে।
আর মেলার বয়স চলছে ১৬। কেন যাইনি বলতে পারি না। মেলায় দুই ধরনে লোক থাকে। এক : দর্শনার্থী, দুই: ক্রেতা। তবে দর্শনার্থীদের পদচারণাই বেশী চোখে পড়ল।
মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় আর বিলাসজাত দ্রব্যই বেশী দেখলাম। মেলায় ঘুড়ে বুঝতে পারলাম যে, একটি জীবন শুরু করতে কিকি উপাদান নিয়ে জীবন শুরু করতে হবে, এর ব্যয় কেমন হতে পারে , তার একটা ধারণা হয়েছে। এমন কিছু পণ্যের দেখা মিলল যা মানুষের যান্ত্রিক জীবনকে আরো যান্ত্রিক করে তোলতে সহায়তা করবে।
মেলায় অনেক পুরনো দুজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়। ঢাকা সিটি কলেজের বন্ধুর সাথে দেখা মিলল।
আরেক বন্ধু যার সাথে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করি। তাদের সাথে কুশল বিনিময় হল। সেল নং বিনিময় হল। অনেক পুরনো বন্ধু তারা আমার। মনে মনে তাদের আমি খুজতে ছিলামও বটে।
মেলায় আসার আদেৌতে তাদের সাথে দেখা পাওয়া।
মেলা থেকে আবার আইডিভি ভবনে । অত:পর ল্যাপটপটি নিয়ে বাসার উদ্দ্যেশে রও্য়ানা দেওয়া। টানা পাচঘন্টা ধরে মেলায় হেটে শরীর কান্ত হয়ে যায়।
আজ পর্যন্ত………..
২৮.০১.১১, তুরাগ (উত্তরা), ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।