উচিৎ কথা কইতে গেলেতো বলবেন হাজী সাহেবের মুখ খারাপ
এই প্রজন্মের রাজকুমারটি এখন কেমন আছেন? কবে ফিরছেন দেশে? নাকি চুরি আর দূর্নীতির লজ্জায় একঘরে হতে চলেছেন? বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির সদরে-অন্দরে আলোচিত এসব প্রশ্নের জবাবে ছেচল্লিশে সদ্য পা দেয়া মহান দূর্নীতিবাজটি সেই চেনা সলাজ ভঙ্গিতে হাসলেন। প্রথম দেখায় পরনারীকে আপন করে নিতে যা কিনা হৃদয়ভেদী। কিন্তু এবার যেন এই হাসির আড়ালে ছাপিয়ে উঠল ১/১১’র ভয়াবহ স্মৃতি, সিদ্ধ ডিম, হাড়-ভাঙার অব্যক্ত যন্ত্রণা; আর চুরি করবেন কি করবেন না, বাংলাদেশ থেকে ডলার চুরি করে মালয়েশিয়ায় আর ব্যবসা করবেন কি করবেন না—এসবের টানাপড়েন। শেষ নভেম্বরে লন্ডনের আকাশে যেমন এই রোদ-এই মেঘ।
১/১১ এর পর শিশু থেকে বৃদ্ধরা দিবালোকের মত বুঝতে পেরেছিল, ভদ্রবেশি এই দূর্নীতিবাজটি গণতন্ত্র আর সুশাসনের মস্ত বড় খলনায়ক।
হাওয়া ভবন ছিল ইতিহাসের নিকৃস্টতম ক্ষমতার অপব্যবহার আর হাঙ্গামার উৎস। তাকে ঘিরেই ছিল মাফিয়া ডন আর জঙ্গীদের বিষাক্ত বিশবাস্প। গণতন্ত্র বিনাশের জন্য, ক্ষমতায় আকড়ে থাকার জন্য সেই কালো প্রহরে হাওয়া ভবনে কি বিভৎস ষড়যন্ত্রের ঘটনা। কী সব ঘৃন্য বর্বরতার ইতিহাস, বাবর মামুনদের ঘৃন্য পদচারনা! তারপর মইন-ফখরুদ্দীন সরকারের পদছায়ায় ডিজিএফআই এর কয়েকজন সাহসী কর্মকর্তার বদৌলতে সত্যর আলো বেরিয়ে পড়ল। দিবালোকের মতো স্পষ্ট হলো, ঘৃন্য দূর্নিতীবাজদের কেন্দ্র আর কেন্দ্রবিন্দু।
"উইপন্স অব ম্যাস ডেসট্রাকশন" নয় কিন্তু গণতন্ত্রবিধ্বংসী মারণাস্ত্রে ভরপুর কুচক্রীর দল হাওয়ায় হাওয়ায় হাওয়ার ভবনে। ১/১১’র পর সব চোরগুলোর স্বরুপ উম্মোচন হলো কিন্তু তারপরও সবচেয়ে বড় চোরটি যে কে, জাতির সামনে আজ তা স্পষ্ট।
রিমান্ড হলো, তদন্ত হলো; বন্ধুর জবানিতে প্রমান হলো রাজকুমারের কূকীর্তি, কিন্তু এত বড় চোরের বিচার হলো না, কারন তিনি আমাদের রাজকুমার। জেলে থাকতে এই বাঁচে এই মড়ে, তাই পঙ্গুত্বের দোহাই দিয়ে চিকিৎসা নিতে বিলেত। কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ।
আমি আমার ক্ষমতা চাই, আবার দেশ চালনার চাবিকাঠি চাই, প্রতিশোধ চাই প্রতিষোধ- একবুক প্রতিশোধ বুকে চেপে অনেকটা স্বগতোক্তির মতোই বলে চললেন গর্বিত দুর্নীতিবাজটি ।
‘আমার বাবা জিয়াউর রহমান গ্রাম-গঞ্জে অবিরাম হেঁটে হেঁটে মানুষের মাঝে থাকার রাজনীতি করতেন। আমি শুরু করেছিলাম সেই হাঁটা, হেঁটে হেঁটে কত চাঁদাবাজিই না করেছি আমি। বলুন তো, কেন ওরা আমার মেরুদণ্ড ভেঙে আমাকে স্থবির করতে চেয়েছিল? সেই হাঁটা, সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে?’ উল্টো আমার দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিষণ্ন, প্রতিষোধ পরায়ন কলংকিত রাজকুমারটি, ১/১১’র আমলে যার বিষময় চরিত্রটি উম্মচিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে, আমাদের রাজকুমারের নামে গুনে গুনে ১৩টি মামলা হয়েছিল।
কোনোটাতেই তিনি দোষি নন, উনি ফেরেসতার মত মানুষ। আথচ উনার জানে দোস্ত মামুন যারে সাথে নিয়া গাজীপুরের বাগানবাড়িতে ফূর্তি করতে যেতেন, সব দোষ এখন তার ঘাঁড়ে। সেই সব স্বীকারোক্তি সবই প্রত্যাহার হতে হবে কারন তিনি রাজকুমার-সিংহাসন তার হাতের মুঠোয়। ধর্ষনের দায়ে যাবজ্জিবন সাজাপ্রাপ্তরাও এই দেশে জামিন পায় আর উনিত জামিন পাবেনই। অবশ্য ‘দিনকাল’ সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অনাথ এতিমদের টাকা খাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে অথচ কেউ একবার ভাবল না যে সেও একটা এতিম পোলা, ছোট ভাইটারে নিয়া চুরি বাটপারি কইরা সংসার চালায়, তার এই টাকা খাওয়ার ১০০% অধিকার আছে। বর্তমান মহাজোট সরকার তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা প্রায় দেড় হাজার মামলা তুলে নিয়েছে। অথচ এই এতিম পোলাটার বিরুদ্ধে মামলাগুলো সরকারের দৃষ্টিতে পড়েনি।
সাক্ষাৎকার সুত্র: পাঁ চাটা আমার দেশ পত্রিকার কোন একটি সংখ্যা - ঈষৎ পরিবর্তিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।