আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেচে আসলাম মরণের হাত ওরফে ছাত্রলীগের হাত থেকে

একি কান্ড হলো

আমি সবসময়ই ম্যাঙ্গো পিপল। কোন রাজনীতি টাজনীতি বুঝিনা, করিওনা, যাইয়োনা, মাইর দেইওনা, মাইর খাইওনা। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ছাত্রলীগের হাতে সিস্টেমে পড়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহর শুকরিয়া যে তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন। এইতো ঘন্টাখানেক আগের ঘটনা।

মাত্র ঢাকা থেকে ফিরে জাবি'র ডেইরী গেটে নামলাম। বেশ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছিল। বন্ধু বলল যে চল যাই নাস্তা করি। মাত্রই দোকানে ঢুকে সিঙারার ওর্ডার দিতে চাচ্ছি। সাথে সাথে প্রায় ৫০/৬০ জন ছাত্রলীগের ভাইয়েরা রামদা, চাপাতি, রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে চিল্লাইতে চিল্লাইতে কাদের যেন দাবরানি দিতে শুরু করল।

দেখলাম খাবারের দোকান সহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর শুরু করল করল তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিন চারজন ছাত্র আমার কাছে এসে জানতে চাইল আমরা কোন হলের?? কারণ ওরা আল বেরুনী হলের কাউকে পেলেই মেরে থেতলে দিবে। ছাত্রলীগঃ তোরা কোন হলের বল তারাতারী আমিঃ (মনে মনে) আল বেরুনী বলতে চাচ্ছিলাম (যদিও আমি বঙ্গবন্ধু হলে থাকি, কিন্তু মোশাররফ হল ও বঙ্গবন্ধু হলের মধ্যে মাঝে মধ্যে মারামারি লাগে তাই জান বাচাতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম না বলে বেরুনী হলের নাম বলতে যাচ্ছিলাম, কারণ সাধারনত এই মোশাররফ ও বেরুনী হলের মধ্যে মারামারি লাগেনা) আমার বন্ধুঃ আমরা সাভার থেকে এসেছি। এটা বলায় ওরা ছাড়লো। হোটেলের পিছনের গেট দিয়ে বের হয়ে মারলাম দৌড়।

গিয়ে নাটকের মঞ্চে নিজেকে নিরাপদ মনে করলাম। কিন্তু ওরা জোরে জোরে চিল্লাইতে চিল্লাইতে নাটকের মঞ্চেও এসে হামলা চালালো। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সুসজ্জিত নাটকের মঞ্চ পরিণত হল ভুমিকম্পতে চরমভাবে বিধ্বস্ত হওয়া একটা মঞ্চ। মেয়েদের চিল্লাচিল্লিতে ভারী হয়ে আসছিল পুরো এলাকা। ঐখানে আলবেরুনী হলের যাকে পাইল তাকেই পিটালো ইচ্ছামত।

আবার এইখান থেকে দৌড়ানো শুরু করলাম মেয়েদের হলের দিকে, কারন মেয়েদের হলের দিকে অন্তত মারামারী নাই ভেবে নিলাম। তার পরে বন্ধুদের ফোন টোন করে আমার হলের অবস্থা ভালভাবে জেনে শুনে ধীরে ধীরে কাপা কাপা পায়ে হলে প্রবেশ করলাম। ভাবছিলাম ঐ দোকানে থাকাকালীন সময়ে আমি বলে ফেলতাম যে আমি বেরুনী হলের তাহলে আমার কি হত আজকে???? আমার আগামী পরশুর ফাইনাল পরীক্ষা দিত কে.....??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.