আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি যুদ্ধ বেচে খাই।

জগৎ টা অনেক রহস্যময়, তার চেয়ে বড় রহস্যময় আমরা নিজেরা। সেই রহস্য বাহ্যিক রহস্যকেও হার মানায়।

সে অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিল এক হাঁস বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার যে সে হাঁস ছিল না , ছিল স্বর্ণের ডিমপারা হাঁস।

সেই হাঁস প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম দিত। সেই বিক্রেতা হাজি মাথায় নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সেই হাঁস বিক্রি করত। যে লোক ওই হাঁস কিনত সে ই বিশাল বড়লোক হয়ে যেত। তবে দুঃখের বিষয় হল সবার তা কেনার যোগ্যতা সবার ছিলনা। যার কাছে বিশেষ ধরনের এক কার্ড থাকত তারাই সেই হাঁস কিনতে পারত।

আর সেই কার্ড দেওয়া হত ওই দেশের কিছু সন্মানি ব্যাক্তিদের কে । কিন্তু দুঃখের বিষয় ছিল শুধু কার্ড থাকলেই কেউ স্বর্ণ কিনতে পারত না। তার দরকার ছিল অনেক টাকার। হাসেম মিয়ার টাকা ছিল কার্ড ও ছিল। সে হাঁস বিক্রেতার কাছ থেকে একটি হাঁস কিনে নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে লাগল।

এদিকে করিম মিয়ার কার্ড ছিল। সে একজন পানের দোকানদার ছিল । তাই টাকা পয়সা বেশি ছিল না। হাঁস কিনতে না পারায় সে গরিব গরিব ই রয়ে গেল। আবুল মিয়ার ও শখ হল এরকম একটা হাঁস কিনবে ।

তার কাছে টাকাও ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার কোন কার্ড ছিল না। কিন্তু তার মাথায় বুদ্ধি ছিল প্রচুর। সে গেল নীলক্ষেত। ওখানে গিয়ে ঠিক হাসেম মিয়ার কার্ডের মত একটি কার্ড বানাল।

ব্যাস কেল্লা ফতে। মন মত দেখে শুনে নাদুস নুদুস একটা স্বর্ণডিমওয়ালা হাঁস কিনে ফেলল। মনের আনন্দে হাঁস নিয়ে বাড়ি ফিরে এল এবং রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেল। আবুল মিয়ার দেখাদেখি তার বড়লোক প্রতিবেশীরাও গেল নীলক্ষেত বানিয়ে ফেলল কার্ড। সবাই একটা একটা করে হাঁস কিনে নিয়ে আসল।

রাতারাতি সবাই বড়লোক থেকে বিশাল বড়লোক হয়ে গেল। ওদিকে করিম মিয়া ওই রাজ্যের সন্মানিত ব্যাক্তি হয়েও রয়ে গেল পানের দোকানদার। এদিকে অনেক টাকা থাকার পরও ভুয়া কার্ড ছিলনা বিধায় হাঁস কিনতে পারলনা রহিম। অন্যরা বরলোক হয়ে গেল এবং এতে করে যাদের টাকা ছিল কিন্তু কার্ড ছিলনা তারা গরিব হয়ে যেতে লাগল। অনেকদিন এভাবে চলতে চলতে শুরু হল অর্থনৈতিক বৈষম্য।

মুদ্রাস্ফিতি শুরু হলে। এক কেজি আলুর মুল্য হল দশ স্বর্ণমুদ্রা যা আগে ১ টি তাম্র মুদ্রায় পাওয়া যেত । যাদের হাঁস ছিল তাদের কোন চিন্তা ছিল না। তারা সাচ্ছন্দেই জীবন যাপন করছিল। কিন্তু বাধ সাধল রহিম মিয়ারা।

তারা মাঠে নেমে গেল, বিদ্রোহ করল। এবং শেষে ওই হাঁস বিক্রেতাকে দিল মার। মারের চোটে সে গেল মরে। শেষমেষ রাজা চাপের মুখে কার্ড দিল উঠিয়ে। তারপর থেকে সেই রাজ্যের প্রজাগণ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।

হয়ত অনেকেই গল্পটির থিম টি ধরতে পেরেছেন। হ্যা, আমি বিসিএস এর কোঁটার কথাই বলছিলাম। স্বর্ণের ডিম পাড়া হাঁসের মতই এর চরিত্র । আর আবুল মিয়া ও তার অনুসারিরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর রহিম এর মত লোকেরা মেধাবীদের।

আর হাঁস বিক্রেতা বলতে আমি কাকে বুঝিয়েছে হয়ত আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন আর তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি, যুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করে আর কতদিন খাবেন । মানুষ আর এখন গাধা নেই। আপনাদের এই কোটা প্রথা একদিকে যেমন মেধাবীদের অবমুল্যায়ন করছে অন্যদিকে এক অর্থে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। কারন আমি হলফ করে বলতে পারি এই কোটা প্রথার কারনেই দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ছে। এবং এই একমাত্র কারনেই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাও গলা উচু করে বলতে পারে না যে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা (ভিক্টিম আমি নিজেই।

) আর নারী কোটা, উপজাতি কোটা সব মিলিয়ে মোট ৫৬% উল্লেখ্য বর্তমানে নারীরা কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় আমাদের মেডিকেল কলেজেই ছেলে মেয়ের অনুপাত ৫০:৫০তারপরও নারী কোটা রাখাটা কতটুকু যৌক্তিক? শুধুমাত্র এই ৫৬% ই না আরও রয়েছে অঘোষিত মামা কোটা। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত সামান্য কিছু অংশ বাকি থাকল মেধাবীদের জন্য। তাহলে আর মেধার মুল্যায়ন টা কই রইল। যে দেশে মেধার কোন মুল্য নেই সে দেশের উন্নতি কি আদৌ সম্ভব? যুদ্ধ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়ে একবার তো ধরা খেলেন যার ফলশ্রুতিতে ৫-০ তে হোয়াইট ওয়াস হলেন।

এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ১০ টা সিট পাবেন কিনা সন্দেহ আছে। গল্পের শেষ টা যেমন হয়েছে সেই পরিনতির জন্যেই প্রস্তুত হন। অনেকদিন এভাবে চলতে চলতে শুরু হল অর্থনৈতিক বৈষম্য। মুদ্রাস্ফিতি শুরু হলে। ১০ টি স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে পাওয়া যেত এক কেজি আলু যা আগে ১ টি তাম্র মুদ্রায় পাওয়া যেত ।

যাদের হাঁস ছিল তাদের কোন চিন্তা ছিল না। তারা সাচ্ছন্দেই জীবন যাপন করছিল। কিন্তু বাধ সাধল রহিম মিয়ারা। তারা মাঠে নেমে গেল, বিদ্রোহ করল। এবং শেষে ওই হাঁস বিক্রেতাকে দিল মার।

মারের চোটে গেল মরে। শেষমেষ রাজা চাপের মুখে কার্ড দিল উঠিয়ে। সেই রাজ্যের প্রজাগণ সুখে শান্তিতে বসবাস । হয়ত অনেকেই গল্পটির থিম টি ধরতে পেরেছেন। হ্যা, আমি বিসিএস এর কোঁটার কথাই বলছিলাম।

স্বর্ণের ডিম পাড়া হাঁসের মতই এর চরিত্র । আর আবুল মিয়া ও তার অনুসারিরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর রহিম এর মত লোকেরা মেধাবীদের। আর হাঁস বিক্রেতা বলতে আমি কাকে বুঝিয়েছে হয়ত আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন আর তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি, যুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করে আর কতদিন খাবেন । মানুষ আর এখন গাধা নেই।

আপনাদের এই কোটা প্রথা একদিকে যেমন মেধাবীদের অবমুল্যায়ন করছে অন্যদিকে এক অর্থে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। কারন আমি হলফ করে বলতে পারি এই কোটা প্রথার কারনেই দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ছে। এবং এই একমাত্র কারনেই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাও গলা উচু করে বলতে পারে না যে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা (ভিক্টিম আমি নিজেই। ) আর নারী কোটা, উপজাতি কোটা সব মিলিয়ে মোট ৫৬% উল্লেখ্য বর্তমানে নারীরা কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় আমাদের মেডিকেল কলেজেই ছেলে মেয়ের অনুপাত ৫০:৫০তারপরও নারী কোটা রাখাটা কতটুকু যৌক্তিক? শুধুমাত্র এই ৫৬% ই না আরও রয়েছে অঘোষিত মামা কোটা।

সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত সামান্য কিছু অংশ বাকি থাকল মেধাবীদের জন্য। তাহলে আর মেধার মুল্যায়ন টা কই রইল। যে দেশে মেধার কোন মুল্য নেই সে দেশের উন্নতি কি আদৌ সম্ভব? যুদ্ধ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়ে একবার তো ধরা খেলেন যার ফলশ্রুতিতে ৫-০ তে হোয়াইট ওয়াস হলেন। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ১০ টা সিট পাবেন কিনা সন্দেহ আছে। গল্পের শেষ টা যেমন হয়েছে সেই পরিনতির জন্যেই প্রস্তুত হন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.