জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর!
বিজয়ের ৪২ বছর অতিবাহিত হলো। দেশ অনেক বদলে গেছে। ১৯৭১ এর তুলনায় অনেক বদলে গেছে। মুক্তিযোদ্ধারা কি ভাবতে পেরেছিল ২০১৩ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে?
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন স্বাধীনতার পরে রাজাকারেরা মন্ত্রী হবেন, বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরবেন তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
নিয়াজীর পিছনে কসাই কাদের মোল্লা
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন স্বাধীনতার পরে জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাজনীতি করবে তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন আজকের দিনে রাজাকারদের রক্ষা করতে বিজয় দিবসের আগে হরতাল দেয়া হবে, বিজয় দিবসের পর টানা অবরোধ দেয়া হবে তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন স্বাধীন দেশে পেট্রোল বোমা মেরে ককটেল মেরে মানুষ হত্যা করা হবে, তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন বর্তমান সময়ে জাতির জনক শেখ মুজিবের এভাবে অপমান করা হবে, কুৎসা রটনা করা হবে তার মৃত্যুদিনে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রী মহা আড়ম্বর করে ভূয়া জন্মদিন পালন করবেন, তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন, লেখালেখি করে রাজাকার বিরোধীতা করলে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করা হবে, জবাই করে হত্যা করা হবে, তাহলে তারা হয়ত যুদ্ধ করতেন না।
দেশ এখনো স্বাধীন হয়নি, সেদিন স্বাধীন হবে, যেদিন এই দেশের মাটিতে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে, সেইদিন স্বাধীন হবে, যেইদিন কোন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, কোন রাজনৈতিক দলের নেত্রী রাজাকার বাচাতে আন্দোলন করবেন না।
সেদিন স্বাধীন হবে যেদিন মনির-মেহেদীদের পুড়ে মরতে হবে না, যেদিন হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য বন্ধ হবে।
আশায় বেচে আছি; আশা বেচে থাক
রাজাকারের ফাসি চাই।
কাদের মোল্ল্যার জানাজা+দাফনের ভিডিও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।