অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...
মানেন আর না মানেন বিশ্বাকাপ ক্রিকেট নিয়ে আসলেই কিন্তু ব্যাপক আয়োজন চলছে। রোজ আসতে-যেতে দেখি। যে সে প্রস্তুতি নয়। ওলোট-পালট ধুন্ধুমার ব্যাপার এবং স্যাপার। কী হচ্ছে? কিভাবে হচ্ছে? দেখার বড় লোভ হয়।
’উধার কি ক্যামেরা‘ নিয়ে সকালের অফিসের সময়কে চুরি করে নেমে পড়ি এলাকায়। কুয়াশা তখনও জড়িয়ে ধরে রেখেছে সূর্যকে। ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার ভিড়ে, আমি পায়ে পায়ে স্টেডিয়াম চত্বর দেখি ঘুরেফিরে। সাথে চলছে ক্লিক। ক্লিক।
ক্লিক। আপনারা যারা শীতের সকালে স্টেডিয়ামের শিশির ভেজা সবুজ মাঠে খালি পায়ে এসে দাঁড়াতে অপারগ তাদের আফসোসকে বাড়িতে দিতে ইচ্ছে করছে। আর যারা সরকারী বক্তব্যে শুনছেন যে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নগরীতে সৌন্দর্য বর্ধন শুরু হয়েছে, তাদেরকে এই প্রক্রিয়ার স্বরূপটা দেখাতে ইচ্ছে করছে।
বিশ্বকাপ আসরের আগমন ধ্বনিতে সৌন্দর্য দেবীকে তুষ্ঠ করতে রোজ বলি হচ্ছে মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বৃক্ষরাজি। কাটার পর ডিগার দিয়ে সমূলে উৎপাটিত হবে এই বৃক্ষটিও।
সম্প্রসারিত রাস্তায় পিচ ঢালাই হবে এর উপর দিয়ে। নয়তো থান ইট চাপিয়ে পাশঘেঁষে তৈরী হবে একটা সরু ফুটপাত। হেঁটে চলার সময় আপনি ভুলে যাবেন এখানে কোন একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িযে ছিল প্রকাণ্ড একটা অশ্বত্থ।
মূল স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে চলছে জাল-অনুশীলন
প্র্যাকটিস মেকস এ টিম পারফেক্ট
বোলিং প্রস্তুতি
মার ঘুরিয়ে..উড়িয়ে…ঘুরিয়ে..উড়িয়ে…মার ঘুরিয়ে
পরের বোলারের আগমন
মাঠ থেকে চোখ ফেরানো যাক আশেপাশে। উৎসুক দর্শনার্থীদের ভিড় রয়েছে সিঁড়িতে।
স্টেডিয়াম উন্নয়নের কাজ চলছে। কেউ গায়ে একটু রোদ লাগিয়ে নিচ্ছে। সেই সাথে সকালের তাজা তাজা খবরের শিরোনামে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন একজন পাঠক
আপনি নিশ্চয়ই প্রায়ই অফিসে পৌঁছে সকালের নাস্তাটা সেরে নেন? স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজে নিয়োগকৃত শ্রমিকেরাও নাস্তা করে নিচ্ছে। এরপর শুরু হবে তাদের কাজ।
সময় কম।
কাজ অনেক বাকি। আর মাত্র __দিন __ঘণ্টা __মিনিট __সেকেণ্ড
এদিকসেদিক করতে করতে অতঃপর স্টেডিয়ামের ভেতর!!! বিনা টিকেটে !!!
বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন – দেয়ালে লাগছে উৎসবের রঙ
এই গ্যালারী ভরে উঠবে ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসে
আপনার আসন কোনটি ?
নীল যে আসন = নীলাসন
মাঠের দিকে তাকানো যাক। কাজ চলছে।
কাজ চলছে …।
ডিজিটাল স্কোর বোর্ড
সাইট স্ক্রিন
স্পন্সর
উড ইউ লাইক টু ক্রস দ্য বাউন্ডারি? আপনার ভাবনা শেষ হয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনের আগেই এই বাউন্ডারি পেরিয়ে যাবে অসংখ্য চারের মার
সাত সকাল নয়, এগারো সকাল বেজে গেছে ততক্ষণে
হয়ত এই দরজা দিয়ে সদলবলে বেরিয়ে আসবে আপনার প্রিয় দল।
হয়ত এই দরজা দিয়ে অপরিনামদর্শী ব্যাটিংয়ে আউট হওয়া খেলোয়াড় ফিরে যাবেন সাজ ঘরে।
আমিও ফিরে আসছিলাম। এক মাঠ কর্মী কাছাকাছি এসে শেষ মুহূর্তে বেরসিকের মত বাগড়া দিলেন। বললেন, অনুমতি ছাড়া মাঠ পর্যন্ত চলে এসেছেন। ছবি তুলতেছেন।
এইটা করা যাবে না। আমি বললাম, সব তো খোলা ছিল। কেউ বাধা দিল না তো ভেতরে প্রবেশে!
তাই তো! আসলেই কেউ কিছু বলেনি। প্রহরী আছে স্টেডিয়ামের ভেতরে। সে বাধা দেয়নি কেন ?? ছবিতেই দেখুন …
_______________________________________
ছবিগুলো তোলা হয়েছে শনিবার ১৫ জানুয়ারি ২০১১
_______________________________________
এই পোস্টটি প্রথম ছাপা হয়েছিল বিডিনিউজ২৪.কম ব্লগে
_______________________________________
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।