সাহিত্যের কথা বলা হবে!!!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি। বাকী মাত্র ৪দিন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই ডজন কেন্দ্রীয় নেতা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে চলছে গণসংযোগ, কর্মীসভা ও নির্বাচনী সমাবেশ। নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরা।
দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে লোকজনের কাছে করছেন ভোট প্রার্থনা।
শনিবার বিকেলে মহাজোট প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নৌকা মার্কার সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণসংযোগ ও নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাফর উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের নরসিংসার ও পৈয়াগ এলাকায় পৃথক দুটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মহাজোট প্রার্থী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি উপ-নির্বাচনে তাদের নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে উপ-নির্বাচনে মোকতাদির চৌধুরীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাফর উলস্নাহ শুক্রবার বিকেলে নৌকা মার্কার সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহলস্নায় গণসংযোগে অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মঈনুদ্দিন মঈন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল হান্নান রতন বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেছেন।
এছাড়া সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের চিলোকুট ও বিরামপুর এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নাহার বাপ্পী, প্রচার সম্পাদিকা ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শিরীন আক্তার রোকসানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা শিখা চক্রবর্তী, যুব মহিলা লীগের সহ সভানেত্রী বিথী চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা ও অ্যাডভোকেট আলেয়া চৌধুরী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, বর্তমান সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার কবীর, শাহাদাত হোসেন সুজন, হাসানুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক কামরম্নল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবু আববাস ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌর এলাকার কাজীপাড়া, কান্দিপাড়া, পাইকপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
চারদলীয় জোট প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে শনিবার বিকেলে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি ও গোকর্ণঘাট এলাকায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এমপি, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উলস্নাহ আমান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি, আশরাফী পাপিয়া এমপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আমিরম্নল ইসলাম আলিম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হারম্নন আল রশীদ, সাধারণ সম্পাদক জহিরম্নল হক খোকন ও প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনী সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এমপি বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকারে দুঃশাসনের জবাব দিবে ভোটাররা। পৌর নির্বাচনে বিএনপির সাফল্যে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দুই বছরের ব্যর্থতার জন্য মহাজোট সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরম্ন করেছে। তিনি আগামী উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে সরকারের অপসাশনের জবাব দিতে জনগনকে অনুরাধ জানান।
সভায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেই শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারী হয়।
বিনিয়োগকারীরা পথে বসে। তিনি শেয়ারবাজারের ধস নামার জন্য অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। ব্যারিস্টার রফিক বর্তমান সরকারের দুই বছরের অপশাসনের জবাব দিতে আগামী উপ-নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান।
এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শুক্রবার দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন মার্কেটে দোকানে ও ক্রেতা সাধারণ এবং রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন লোকের কাছে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।