মানবাধিকার কর্মী
মতি লাল দাসের মতে লঅলনের জন্ম ১৭৭৫খৃষ্টাব্দে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন কুষ্টিয়ার লাহিনি পারা থেকে প্রকাশিত হিতকরী হইতে পাই ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার তিনি দেহ ত্যাগ করেন। তখন তাহার বয়স হয়েছিল ১১৬ বৎসর। হিতকরীর সংগৃহিত খন্ডে তারিখ দেওয়া নাই তাই বিষয়টা পরিস্কার না। কিন্তু অণন্যত্র হইতে পাওয়াযায় যে তিনি ১৮৯১ খৃ: মারা যান।
সেই হিসাবে তাহার জন্ম বর্ষ ১৭৭৫ খৃ: নেওয়া হইছে। তাই এই সিধ্বান্ত অনেকটা গুরুত্ব হীন।
অন্যদিকে আধূনিককালের প্র্রথিতযশা বাইল দর্শন-গবেষক উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য লালন শাহের জন্মকাল নির্নয় করতে গিয়ে বলেন তার জন্ম ১১৮১ সালে,ইংরেজী ১৭৭৪ খৃ:। এই তারিখটিই বর্তমানে সর্বাধীক গৃহিত ও প্রচলিত। ড: শশিভূষন দাষ গুপ্ত,মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন,ড: আনিসুজ্জামানসহ অরো অনেকেই এই তারিখটিকে যথার্থ বলে মনে করেন।
এদের মধ্যে মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ব্যতীত অন্য সবাই উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্যের "বাংলার বাউল ও বাউল গান" গ্রন্থে গৃহিত সিদ্বান্তের পোষকতা করেছেন।
লালন শিষ্য দুদ্দু শাহের বর্ণনায় পাওয়াযায়;
বারশত পঁচানব্বই বাংলা সনেতে
পহেলা কার্তিক দিবা আন্তে । ।
সবারে কান্দায়ে মোর প্রানের দয়াল
ওফাৎপাইল মোরে করিয়া পাগল। ।
দুদ্দু শাহ লালনের সর্বাপেক্ষা প্রিয় শিষ্য ছিলেন। স্নেহাধিক্যবশত তিনি তাঁকে বাবা বলে ডাকতেন। তাছারাও লালনের জন্মকাল সম্পর্কে আরো নানা মত রয়েছে। বিষদ আলোচনান্তে বলাযায়, বাংলা ১১৮১ সালের ১লা কর্তিক (১৭৭৪ খৃ: ১৭ই অক্টোবর) লালন শাহজন্ম গ্রহন করেন এবংবাংলা১২৯৭ সালের ১লা কার্তিক (১৮৯০ থৃ: ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। ) অদ্যবধি আবিষ্কৃত , লিখিত ওমুদ্রিত তথ্যের ভিত্তিতে লালনের প্রকৃত আয়োষ্কাল ১১৬ বছর স্বীকার করেইমাত্র ঐ সিদ্বন্তে উপনিত হওয়া যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।