মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে দৃশ্যত পিছু হটেছে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। এটাকে ইসলামপন্থী ব্রাদারহুডের প্রাথমিক জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দেয়াসহ মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে ব্রাদারহুড ও ইসলামপন্থী সালাফিস্টদের ছয়জনকে মন্ত্রী নিয়োগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্রাদারহুডকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ব্রাদারহুডের নজিরবিহীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিন ধরে মিশরের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অস্বাভাবিক গতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকরা আপোস-রফার জন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
ব্রাদারহুডকে নমনীয় করতে দলটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা খয়রাত এল-শাতারের সঙ্গে কারাগারে সোমবার গভীররাতে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ আল আতিয়াহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস।
তবে এর আগে শাতার তাদের সাথে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন, তাদের উচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। কারণ, তিনিই মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আরো গতি সঞ্চার করার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় মিশর পৌঁছবেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাককেইন এবং সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
কায়রো উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগের আগে গ্রাহাম মিশরের সেনাপ্রধান এবং মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার খলনায়ক আবদুল ফাত্তাহ এল-সিসির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
গ্রাহাম বলেন, ‘আমি চাই মিশরে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকুক। তবে এটা করতে হলে মিশরকে গণতন্ত্রের পথে হাটতে হবে, সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে নয়। আমরা এই বার্তাই দিতে চাই। ’
সেনা-সমর্থিত সরকারের পিছুটান
গত ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাতের পর মিশরের সেনাবাহিনী ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার শুরু করে। মুরসি সমর্থকদের ওপর দুদফা গণহত্যা চালানো হয়।
কিন্তু পিছু হটেনি ব্রাদারহুড।
কায়রোর তিনটি স্থানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করাসহ নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে মুরসি সমর্থকরা। এতে টনক নড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের। ব্রাদারহুডের সাথে আপোস-রফার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-আহরাম পত্রিকা জানায়, এখন সেনা সমর্থিত সরকার বলছে- ব্রাদারহুড অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে গেলে তাদের দাবি অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হাজেম এল-বেবলাউইকে সরিয়ে দিয়ে ব্রাদারহুডের কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করা। এতে ব্রাদারহুডের তিনজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া ইসলামপন্থী সালাফিস্ট পার্টি থেকেও নেয়া হবে তিনজন মন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভায় কোনো ইসলামপন্থীর ঠাই হয়নি। মন্ত্রিসভা ছিল বামপন্থী এবং খ্রিস্টানদের দখলে।
ব্রাদারহুডকে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের জন্য ৫০ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতেও তাদের স্থান দেয়া হবে। এছাড়া ব্রাদারহুড নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত বিচার হবে না। নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
তবে ব্রাদারহুডকে এসব ছাড় দেয়ার বিনিময়ে সেনা সমর্থিত সরকার চাচ্ছে মুরসি সমর্থকরা কায়রোর তিনটি স্থানের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাবে। কিন্তু তারা বলছেন, মুরসিকে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
কায়রোর নসর সিটির রাবা আল-আদাবিয়া, কায়রো ইউনিভার্সিটির আন-নাহদা স্কয়ার এবং আলফ মাসকান এলাকার হেলিওপোলিসে লাগাতার অবস্থান করছেন লাখ লাখ মুরসি সমর্থক।
ব্রাদারহুড এবং মুরসি সমর্থকদের মূল দাবিগুলো হলো- মুরসিকে পুনর্বহাল, সংবিধান এবং সংসদ বহাল। এছাড়া তারা বলছেন, সেনাপ্রধান আল-সিসিকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা যাবে না। মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে দৃশ্যত পিছু হটেছে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। এটাকে ইসলামপন্থী ব্রাদারহুডের প্রাথমিক জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দেয়াসহ মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে ব্রাদারহুড ও ইসলামপন্থী সালাফিস্টদের ছয়জনকে মন্ত্রী নিয়োগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্রাদারহুডকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ব্রাদারহুডের নজিরবিহীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিন ধরে মিশরের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অস্বাভাবিক গতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকরা আপোস-রফার জন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
ব্রাদারহুডকে নমনীয় করতে দলটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা খয়রাত এল-শাতারের সঙ্গে কারাগারে সোমবার গভীররাতে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ আল আতিয়াহ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পরাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস।
তবে এর আগে শাতার তাদের সাথে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন, তাদের উচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।
কারণ, তিনিই মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আরো গতি সঞ্চার করার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় মিশর পৌঁছবেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাককেইন এবং সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
কায়রো উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগের আগে গ্রাহাম মিশরের সেনাপ্রধান এবং মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার খলনায়ক আবদুল ফাত্তাহ এল-সিসির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
গ্রাহাম বলেন, ‘আমি চাই মিশরে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকুক। তবে এটা করতে হলে মিশরকে গণতন্ত্রের পথে হাটতে হবে, সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে নয়।
আমরা এই বার্তাই দিতে চাই। ’
সেনা-সমর্থিত সরকারের পিছুটান
গত ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাতের পর মিশরের সেনাবাহিনী ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার শুরু করে। মুরসি সমর্থকদের ওপর দুদফা গণহত্যা চালানো হয়। কিন্তু পিছু হটেনি ব্রাদারহুড।
কায়রোর তিনটি স্থানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করাসহ নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে মুরসি সমর্থকরা।
এতে টনক নড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের। ব্রাদারহুডের সাথে আপোস-রফার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-আহরাম পত্রিকা জানায়, এখন সেনা সমর্থিত সরকার বলছে- ব্রাদারহুড অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে গেলে তাদের দাবি অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হাজেম এল-বেবলাউইকে সরিয়ে দিয়ে ব্রাদারহুডের কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করা। এতে ব্রাদারহুডের তিনজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।
এছাড়া ইসলামপন্থী সালাফিস্ট পার্টি থেকেও নেয়া হবে তিনজন মন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভায় কোনো ইসলামপন্থীর ঠাই হয়নি। মন্ত্রিসভা ছিল বামপন্থী এবং খ্রিস্টানদের দখলে।
ব্রাদারহুডকে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের জন্য ৫০ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতেও তাদের স্থান দেয়া হবে। এছাড়া ব্রাদারহুড নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত বিচার হবে না।
নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
তবে ব্রাদারহুডকে এসব ছাড় দেয়ার বিনিময়ে সেনা সমর্থিত সরকার চাচ্ছে মুরসি সমর্থকরা কায়রোর তিনটি স্থানের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাবে। কিন্তু তারা বলছেন, মুরসিকে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
কায়রোর নসর সিটির রাবা আল-আদাবিয়া, কায়রো ইউনিভার্সিটির আন-নাহদা স্কয়ার এবং আলফ মাসকান এলাকার হেলিওপোলিসে লাগাতার অবস্থান করছেন লাখ লাখ মুরসি সমর্থক।
ব্রাদারহুড এবং মুরসি সমর্থকদের মূল দাবিগুলো হলো- মুরসিকে পুনর্বহাল, সংবিধান এবং সংসদ বহাল।
এছাড়া তারা বলছেন, সেনাপ্রধান আল-সিসিকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।