মিশরের চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে এমনিতেই প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকতে হয়।
টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ব্রাদারহুডের সামরিক শাখাটি এরই মধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি এই শাখার ১২ জন সদস্যের নামও ঘোষণা করেছেন।
এই বাহিনী বেনি সুয়েফ প্রদেশে জানুয়ারিতে পাঁচজন পুলিশকে গুলি করে হত্যা করেছে বলেও জানান তিনি।
গত বছর জুলাইয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে উৎখাত করেন ফিল্ড মার্শাল আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী।
এরপর থেকেই ব্রাদারহুডের সমর্থকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমর্থিত মিশরের অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের সংঘর্ষ চলছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসীদের সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়ছে। নিরাপত্তা বাহিনী দলটির প্রায় এক হাজার কর্মী-সমর্থককে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করেছে।
এদিকে মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি তারা নৃশংসতার বিরুদ্ধে। বরং তারা সিসির বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার অভিযোগ তুলেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ মিশরের সেনা সমর্থিত সরকার দেশটিতে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং ভিন্নমতকে উসকে দিচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।