মানবাধিকার কর্মী
লালন শাহ্ বাংলাদেশী লোক-সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম দিকপাল। তার মত মহান কবি ভারতীয় বাংলার লোক-সাহিত্যেও দেখা যায়না। প্রায় পৌনে এক শতাব্দী পূর্বে এই কালোত্তর প্রতিভার তিরোভাব ঘটেছে।
তথাপি তার জীবনীর কোন নির্ভরযোগ্য আলোচনা আজৌ লিপিবদ্ব হয়নি। কারন তার দীর্ঘ জীবনের কাহিনী রচনায় প্রয়োজনীয় উপকরণ খুঁজে পাওয়া ভার।
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম গীতিকবি চন্ডীদাসের মতই লালন শাহ্ সারাজীবন আত্বলোপের সাধনা করে গেছেন। কোথাও তিনি নিজের পরিচয় রেখে যাননি। মধ্যযুগের ঐতিহ্যবাহী কবি হয়েও লালনশাহ্ তাই মধ্যযুগীয় কবিদের থেকে আশ্চর্য রকম পৃথক। বাঙলঅদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আজ পর্যন্ত তার রচিত সহস্রাধীক গান সংগৃহীত হয়েছে। সে সবের মধ্যে কোন একটি রচনাও পাওয়া যায়নি-যার মধ্যে লালন জীবনীর সুস্পষ্ট তথ্য-নির্দেশ বিধৃত।
নিজের সম্পর্কে তার এ নির্লিপ্তি প্রায় সীমাহীন। অত্মপরিচয়ে তার সামান্যতম আগ্রহও ছিলনা। বরং গভীর বিতৃষ্ঞা থাকায় সমকালে জীবিত লালনের প্রতিবেশীরাও তাঁর সম্পর্কে খুব কমই জানত। জাতি-গুত্র-বংশ ইত্যদি সম্পর্কে তার বিতৃষ্ঞার সাক্ষ্য লালনগীতির মধ্যেই পাওয়া যায়। যেমন-
..........লালন বলে হাতে পেলে
"জাত" পোড়াতাম আগুন দিয়ে।
এজন্য লালনশাহের অন্তরংগ শিষ্যবৃন্দও তার জন্মস্থান,জাতি,গোত্র,বংশপ্রভৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবিহিত ছিলেন কিনা সন্দেহ। ফলে , লালন শাহের পূর্ণাঙ্গ ও প্রামাণিক জীবন-কথা রচনা করা আয়াসসাধ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।