বেপোয়া মানুষ
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ১৬ কোটি মানুষের আকাংখার প্রতিফলন। অবিলম্বে রাষ্ট্রের নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবিও জানিয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। উচ্চ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য আইনী লড়াইয়ে জয়ী হওয়া এই সংগঠনের নেতারা দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবিতে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জামায়াত একটি সন্ত্রাসী জঙ্গী দল। এদের সঙ্গে ইসলামের কোন সর্ম্পক নেই।
এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। ৪২ বছরে এ দলটি সংবিধান বিরোধী, অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী রাজনীতির চর্চা করে আসছে। হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে যে রায় দিয়েছে, তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। জামায়াতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে ফেডারেশন বলেছে, ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনা ট্রাস্টসহ এ অশুভ শক্তির সম্পত্তি সরকারের অধীনে নিতে হবে। জামায়াতে ইসলামী পবিত্র রমজান মাসেও পরপর হরতাল আহ্বান করে জনজীবনে এক চরম দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
মৌলবাদী এ সংগঠনটি ভবিষ্যতে দেশের অস্তিত্বের জন্য বড় সঙ্কট হিসেবে দেখা দেবে। তাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের অর্থনৈতিক উৎসগুলোকে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয়করণ করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী, স্বাধীনতা ও ইসলামবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ৭১-এর চেতনায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা অতীব প্রয়োজন। গত ১ আগস্ট মহামান্য হাইকোর্ট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়কে ঐতিহাসিক এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরের আকাংখার প্রতিফলন সঙ্গে সঙ্গে আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি পট-পরিবর্তনের নৈতিক প্রেক্ষাপট হিসেবে দেখছি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দুর্বলতা ছিল জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক বৈধতা। গত ৪২ বছরের গণমানুষের হৃদয়ে রক্ত ঝরিয়ে এ দলটি সংবিধানবিরোধী, অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে আসছিল ব্যাপক ক্ষমতার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত রাজনৈতিক অধ্যায়ও রচনা করেছে স্বাধীনতাবিরোধী এ দলটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।