নোয়াখালী পৌরসভায় চারদলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হারুনুর রশীদ আজাদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশী বাধায় শনিবার পথসভা করতে পারেনি। আজ বিকেল ৫টায় জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ওই পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল।
এসময় সভাস্থলের পাশের রাস্তা থেকে পুলিশ তিন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
মেয়র প্রার্থী হারুনুর রশীদ আজাদ জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পথসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পথসভা শুরুর পুর্বমুহুর্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সভাস্থলে গিয়ে তাদের সভা করতে নিষেধ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁরা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ মেনে নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করার সময় পুলিশ রাস্তা থেকে তাঁদের তিন সমর্থক আকরাম হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও মো. মনিরকে থানায় নিয়ে যায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ নির্বাচণী আচারণবিধি মেনে পথসভার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একদল পুলিশ নিয়ে এসে তাঁদের পথসভা ভেঙ্গে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা দিনভর শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল ইসলাম জানান, পথসভাটি জনসভায় রূপান্তর হওয়ায় নির্বাচনী আচারণবিধি অনুযায়ী তিনি ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আইনের বাইরে তিনি কিছু করেননি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, পথসভাটিতে বিপুল পরিমান লোক সমাগম হওয়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে মেয়র প্রার্থীকে পথসভা করতে নিষেধ করেন। একই সময় আচারণবিধি লঙ্ঘণ করায় তিনজনকে আটক করা হয়। এদের শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।