আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না



আজ বিডি নিউজ ২৪ ডটকমে একটি সংবাদ দেখে কিছু লিখার ইচ্ছা হলো। খবরের শিরোনাম হচ্ছে,তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট পালিয়ে গেলেন। খবরটি পড়া যাক তারপরে কিছু বিশ্লেষণ। ঢাকা, জানুয়ারি ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ২৩ বছর এক নাগাড়ে শাসন চালানোর পর প্রবল জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বেন আলি। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানুচি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে আবিদিন তিউনিসিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। আশা যাক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। জোর করে ক্ষমতায় থাকা বা সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। আমরা দেখেছি গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র চর্চার পরিবর্তে সেনাবাহিনী জোর করে এক সময় ক্ষমতা দখল করে ফেলে।

আমরা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে দেখেছি। যারা সেনা প্রধান হিসেবে সেনাবাহিনীর দাপটে ক্ষমতায় বসেছেন। মঈন-উ আহমেদও নাকি চেয়েছিল জোর করে ক্ষমতায় বসতে শুনা যায়। সেটা কতটুকু সত্য তা জানি না। তবে উনি দখল করলে একটি মারাত্মক ভুল করতো।

যদিও বিএনপি ক্ষমতায় গেল ওনার এবং ফখরুদ্দীনের বিচার করবে। আমরা জানি স্বৈরতন্ত্র এক সময় নিপাত যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কোন সভ্য সমাজ এক নায়কতন্ত্র মেনে নিতে পারে না। একটা সময় তাকে পালাতে হবেই। যেমন দেখেছি এরশাদ সাহেবকে।

যদিও ওনাকে নিয়ে মহাজোট সরকার গঠন করে সমালোচিত হয়েছে। তারপরেও রয়েছে। তবে একটা কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, স্বৈরচারী সরকারদের যদি বিচারই না হয় তবে খুব খারাপ লাগে। এছাড়া স্বৈরতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র অপরাধে যারা অপরাধী তাদের আশ্রয় দেওয়া সভ্য সমাজের কাজের মধ্যে পড়ে বলে আমার মনে হয় না। ওদের নিজের দেশের হাতে তুলে দেওয়াটাই সমীচিন।

জাতি ক্ষমা করবে না। যেমনটা বাংলাদেশে দেখেছি। শহীদ নূর হোসেনের মতো টগবগে তরুণেরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। যাদের রক্তের কারণে আজ দেশে গণতন্ত্র চালু রয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই, নির্বাচিত সরকার হোক আর স্বৈরচারী বা একনায়কতন্ত্র বা রাজতন্ত্র হোক যদি জনগণকে ধোকা দিয়ে থাকার চেষ্টা করে তবে জাতি একসময় তাদের ধরবেই।

তখন পালানো বা আত্মহত্যা ছাড়া গতি থাকবে না । আমরা জোর করে ক্ষমতায় থাকা বা অপব্যবহার করাকে ঘৃণার চোখে দেখি। আসুন আমরা সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসি। সৎ এবং যোগ্য রাজনীতিবিদকে সমর্থণ করি। …….. 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.