”সব রাজাকারদের বিচার চাই” খবরে বলা হচ্ছে, “”সরকারি ও বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে পর্যায়ক্রমে নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না নির্যাতিত নারীরা। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংরক্ষিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, বিগত বছরগুলোতে সারাদেশে নারীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ, যৌন নির্যাতন শ্লীলতাহানি ও নারী-শিশু পাচারসহ নির্যাতনের ঘটনা ১৮ হাজার ৯৪৭টি ও গণধর্ষনের শিকার হয়েছে ৮৬ জন নারী । কথিত মানবাধিকার সংস্থা ও সরকারের এ ব্যাপারে আরো সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। যে হারে দেশে হত্যা গুম ও ধর্ষনের মতো জঘন্যতম অপরাধ চলছে এতে করে দেশের সাধারন মানুষ আতংকিত ।
তাই সরকারকে এখনই ওইসব নরপশুদের বিচার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, না হয় এর ভয়াবহতা আরো দিন দিন ভয়ংকর আকার ধারন করবে। ””
এখন আমার কিছু কথা আছে। যদিও আমার কথায় এই সব বোধশক্তিহীনদের বোধ দূর হবে কিনা জানিনা। তারপরও মানুষ হিসেবে আমি বলতে দ্বিধাবোধ করিনা। আর তাই বলছি।
আইন। একটি সুশৃঙ্খল চলন মাধ্যম। আইন/নিয়মকে কেন্দ্র করেই একটি ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ এমনকি জাতি টিকে থাকে। একটি আইন মূলত তিনটি বিষযের উপর নিভর করেই একটি সুশৃঙ্খল জাতি উপহার দিতে সক্ষম।
(১). আইন প্রনয়নকারী: যিনি আইনটা তৈরি করেন।
উনাকে ১০০% সবদিক হতেই সঠিক হতে হবে। বেমেছাল জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। অতীত বতমান এবং ভবিষ্যত সম্পকে ১০০% জানা থাকতে হবে। যেটা বাস্তবে দুস্কর।
এককথায় বুঝাতে হলে বলতে হয়, আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনা্রাই এককভাবে এটার মালিক।
আর উনাদের আইনেই একমাত্র প্রভাব এবং ভীতি তৈরি করতে সক্ষম সমস্ত মানুষ ও জ্বীনদের হৃদয়ে।
কিন্তু কেউ যদি এর ব্যতিক্রম ভাবে তাহলে লোকে যে বলে আইনের ফাক আছে এবং সে ফাকেই পার পেয়ে যাবে । সেটারই বাস্তবায়ন হবে এবং তাই দেখছি আমরা। দেখবোও ভবিষ্যতে।
(২). আইন প্রয়োগকারী: আইন জারি করেন তিনি।
আইনের রোব ও ব্যাক্তিত্ব ফুটে উঠতে হবে আইন প্রয়োগকারীর চেহেরায়। উনাকেও ১০০% সৎ এবং আইন পালনকারী হতে হবে। কিন্তু এমন লোক দেখা যায়না।
তাহলে কি এমন মানুষ পৃথিবীতে নাই? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। উনারা হচ্ছেন ওলী আল্লাহ।
ভালো মন্দ সম্পকে সুক্ষাতিসুক্ষ জানেন। নিজ স্বাথ উনারা দেখেননা। পুঙ্খানুপুক্ষ আইন মেনেই চলেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ব্যাক্তিত্ব । সমস্ত খারাপী থেকে একমাত্র উনারাই দূরে থাকেন।
(৩). আইন পালনকারী: যিনি আইন মেনে চলেন। অথাৎ সমস্ত মানুষ এবং জ্বিন জাতি।
এখন কথিত সচেতন মানুষ, বুদ্বিজীবি, মিডিয়া সবাই বলছে কথিত মানবাধিকার সংস্থা ও সরকারকে এ ব্যাপারে আরো সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই নারীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ, যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি কমবে।
কিন্তু আমি বলবো আজীবন এই সমস্ত ব্যাক্তি,দল,সংগঠন এমনকি সরকারও বিন্দুমাত্র কমাতে পারবে না। বরং আরও বাড়বে।
কারন কি? কারণ অনেক। মূল কারণ গনতন্ত্র, রাজতন্ত্র নামক প্রতারণার নিয়ম বা আশ্রয় বা শাসনতন্ত্র। এই আইনে মিথ্যাবাদী,মদখোর, বদচরিত্রও আইন করতে পারে।
আইন প্রয়োগকারীও হতে পারে। তাহলে তাদের কাছে নারীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ, খুন, অপহরণ, যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি কি আজীবন কমবে? প্রকৃত সচেতন মানুষ কি এসমস্ত নোংরা, অপবিত্র তন্ত্র-মন্ত্র দ্বারা এগুলো কমার আশা করতে পারে?
গনতন্ত্র নামক বদচরিত্রের শাসনব্যবস্থার প্রবতক(আব্রাহাম লিংকন) যখন অবৈধ সন্তান হয়। তখন সেই শাসনব্যবস্থায় শান্তি আশা করা কি চরম গোড়ামী নয়? আপনারা পৃথিবীর কোনও একটা গনতন্ত্রী দেশ দেখাতে পারবেন কি যেখানে বদচরিত্রের কাজ হয়না অহরহ?
পাঠক। আপনি গায়ের জোরে মানেন আর নাই মানেন, তবু চির সত্য এ সমস্ত নোংরা, অপবিত্র তন্ত্র-মন্ত্র দ্বারা কোনও খারাপ কাজ কমতে পারেনা ,কমার দৃষ্ঠান্তও আপনি দেখাতে পারবেন না।
একমাত্র আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনা্রাই এককভাবে এগুলো দূর করার ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
আর উনাদের আইনেই একমাত্র প্রভাব এবং ভীতি তৈরি করতে সক্ষম সমস্ত মানুষ ও জ্বীনদের হৃদয়ে। আর ওলী আল্লাহ উনারাই আইনপ্রয়োগ করার যোগ্যতা রাখেন। উনাদের আইন প্রয়োগেই প্রকৃত শান্তি-শৃঙ্খলা।
আর তাই জনগনের জন্যই সমস্ত জনগণকে মেক্বী আইন বা শাসনব্যবস্থা বাদ দিতে হবে। অসার লম্প-ঝম্প থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রকৃত সত্যকে গ্রহন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।