জীবন্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে এম.ফিল. প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য প্রার্থীদের নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের এমফিল ও পিএইচ.ডি. শাখা (কক্ষ নং-৩২৩) থেকে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় শিক্ষার্থীদের এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পাশের মূল নম্বরপত্র দেখাতে হবে।
আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে হাতে লিখে বা টাইপ করে।
আপনি যে বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে এই প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান সেই বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বা পরিচালকের নিকট জমা দিতে হবে আগামী ২৬ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আবেদনপত্রের সাথে সকল পরীক্ষার নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা প্রার্থীর এক কপি ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দিয়ে সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র পূরণের সময় শিক্ষার্থী কোন ভুল তথ্য প্রদান করলে এবং পরে তা প্রমাণিত হতে তার ভর্তি বাতিল করা হবে।
ভর্তির অন্যান্য শর্ত
শিক্ষার্থীর নূন্যতম ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা তিনবছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান ও এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স ডিগ্রিধারী অথবা দুই বছর মেয়াদী স্নাতক ও দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সকল পরীক্ষায় নূন্যতম ২য় বিভাগ বা শ্রেণীসহ কমপক্ষে ৫০% নম্বর থাকতে হবে।
যদি শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ-র নিয়মে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তবে প্রার্থীদের এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ৩.৫ অথবা ৪ এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।
এমফিল প্রোগ্রামের দুই বছরের। এর মধ্যে ১ম বছর কোর্স এবং ২য় বছর থিসিস। কিন্তু এমফিল প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশানের মেয়াদ ৪ বছর। সকল অনুষদ ও ইনস্টিটিউট এমফিল কোর্স পূর্ণকালীন কোর্স হিসেবে গণ্য করা হবে।
তাই চাকরিরত শিক্ষার্থীদের ১ বছরের ছুটি নিয়ে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
এমফিল গবেষকগণ ১ম বর্ষ প্রথমবারে পাশ করতে না পারলে অথবা যে কোন কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে বা কোর্স শেষ করতে না পারলে কোর্সের তত্ত্বাবধায়ক ও বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র একবার পুনরায় ভর্তি হতে পারবেন। এক বার পুনঃভর্তি হলে শিক্ষার্থী আর কোন পুনঃভর্তির সুযোগ পাবেন না।
এমফিল কোর্সে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত গবেষকদের জন্য মোট ২০০ নম্বরের দুই ইউনিট (১০০ নম্বর করে প্রতি ইউনিট) অথবা চার ইউনিট (৫০ নম্বর করে প্রতি ইউনিট) তত্ত্বীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ১০০ নম্বরের ইউনিটের ৩ ঘন্টা এবং ৫০ নম্বরের ইউনিটের ২ ঘন্টা পরীক্ষা দিতে হবে।
এছাড়াও ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাও থাকবে। মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার পাশ নম্বর গড়ে ৫০%।
এমফিল প্রোগ্রামে (১ম পর্বে) তত্ত্বীয় পরীক্ষায় পাশ করলেও একজন গবেষক মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে পরবর্তী ব্যাচের সাথে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ইচ্ছা করলে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
এমফিল কোর্স পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোন গবেষক কোন একটি তত্ত্বীয় কোর্সে/মৌখিক পরীক্ষায় ৫০% এর কম নম্বর পেলে সেই কোর্স/মৌখিক পরীক্ষায় পরবর্তী সুযোগে পুনঃভর্তি ছাড়াই যথারীতি পরীক্ষার ফি প্রদান করে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে পরবর্তী পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারবেন।
তবে শিক্ষার্থী কোন একটি কোর্সের পরীক্ষায় ৩০ এর কম নম্বর গণনা করা হবে না তবে ৫০% এর অধিক নম্বর পেলে তা বহাল রাখা যাবে।
এমফিল ১ম বর্ষ উত্তীর্ণ গবেষকগণের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ১ মাসের মধ্যে ২য় বর্ষে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে প্রতি দিন ১ টাকা হারে বিলম্ব ফি দিয়ে বলম্ব ভর্তি হওয়া যাবে। এর মধ্যে ভর্তি না হলে ২০০০ হাজার টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে।
এম.ফিল. প্রোগ্রামে চলতি শিক্ষাবর্ষে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মেধার ভিত্তিতে ইতিহাস বিভাগের জন্য নির্ধারিত একটি শের-ই-বাংলা বৃত্তিসহ মোট ৩৬টি বৃত্তি মাসিক ৩০০০ টাকা হারে প্রদান করা হবে।
তবে গবেষকগণ চাকরিরত থাকলে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি বা আর্থিক সহযোগিতা পেলে এ বৃত্তি ভোগ করতে পারবেন না।
আবেদনকারীরা যে হলে ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান সে হলের প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটে জমা দিতে হবে। তবে আবেদনকারী যে হলে ছাত্র ছাত্রী হিসেবে স্নাতক বা মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন সে হলের ছাত্র ছাত্রী হিসেবে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন না।
শিক্ষকদের মধ্যে একজন তত্ত্বাবধায়ক এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে দুটি মিলিয়ে সর্বমোট পূর্বাপর অনধিক এককভাবে ৮জন অথবা যৌথভাবে ১০জন গবেষকের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী সহকারি অধ্যাপকবৃন্দ এমফিল প্রোগ্রামের গবেষকদের তত্ত্বাবধায়ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের ডিগ্রিসমূহের সমতা নিরুপণের জন্য আবেদন করতে হবে।
যে সকল শিক্ষার্থীর এসকল যোগ্যতা রয়েছে শুধুমাত্র তারাই এই এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লিংকটিতে দেখুন-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।