কিছু নিজের লেখা আর কিছু নেট থেকে ঘষামাজ়া করা, কেউ অন্য কোথাও লিখতে চাইলে প্লিজ জানাবেন ©
রাতের আঁধারে-প্রিয়তমার কোমল হাত স্পর্শ করতে গিয়ে
যখন রুক্ষ হাতের স্পর্শ পেয়েছিলাম, বুজেছিলাম খেল খতম
এ যে ভাবি শ্বাশুড় মহাশয়ের হাত।
কেমন বুঝিবো এতো সহসাই শয্যা পরিবর্তন হয়েছে।
এ ভুলটা নাহয় মেনে নেয়া যেতো।
কিন্তু মুঠোফোনের মিষ্টি কিন্নরী কন্ঠে অতি আমোদিত হয়ে-
যখন জানু পাখি ,জানু পাখি , প্রিয়তমা, প্রিয়তমা বলে-
ব্যাকুল হয়ে পড়ছি -
তখন অপর প্রান্ত থেকে ভাবগম্ভীর ডাক শুনতে পেলাম-
বাবা,আমি সালমা না, আমি সালমার মা "তোমার ভাবি শ্বাশুড়ি আম্মা।
এ ভুলটাও না হয় মেনে নেয়া যেতো-
কিন্তু ফেলে আসা অতীতের প্রথম প্রেয়সী লায়লার
ফোন পেয়ে যখন পুরানো প্রেম উথলে পড়েছে-
লায়লা, লায়লা বলে হৃদয়ের আহবানে কাতর হচ্ছি-
তখন যেন মাথায় বাজ ভেংগে পড়লো-
অপরপ্রান্ত থেকে মাথার উপর হাতুড়ি পেটার শব্দ হলো-
লায়লাটা আবার কে?
আমি সালমার খালা-তোমার ভাবি শাশুড়ি খালাম্মা।
এ ভুলটাও না হয় মেনে নেয়া যেতো-
কিন্তু ছোট শ্যালিকার হাতে আমার ওয়ালেট যখন
নিজের অগোচেরই হস্তবন্দী হলো-
আর্কিমিডিসের মতো বলতে লাগলো ইউরেকে ইউরেকা।
মনে করেছিলাম হয়তোবা একশ ডলারের নোটটা পেয়েই আপ্লুত হচ্ছে।
কিন্ত কে জেনেছিলো, ওয়ালেটের ছিপায় প্রথম প্রিয়ার চুম্বন ছবি বন্দি হয়েছিলো
এ ভুলটাও না হয় মেনে নেয়া যেতো-
কিন্তু পুরানো বাসা বদল করতে গিয়ে-
যখন কাপড়ের স্তুপের মাঝখান থেকে অকস্মাৎ বেরেয়ে এলো
কী অপরুপ ভালোবাসাময় নিষিক্ত নিষিদ্ধ আমার প্রেমময় ছবি-
আর সেখানেই যমদূতের মতো হাজির আমার ভাবি জীবনসংগিনী।
তাও চালিয়ে দিয়েছেলাম শত্রুবন্ধুদের ফটোশপের গোপন কারসাজি বলে।
এ ভুলটাও না হয় মেনে নেয়া যেতো-
কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেলো-
যখন-
এতোদিনের পালক ময়নাটা বিট্রে করে বসলো-
সালমাকে দেখেই যখন বললো--
লায়লা বউ সুন্দর ,লায়লা বউ সুন্দর,লায়লা বউ সুন্দর-
এই বউ কুচ্ছিত, এই বউ কুচ্ছিত এই বউ কুচ্ছিত।
মনে মনে ভাবলাম - কী অলুক্ষনেই যে লায়লাকে বউ ডেকেছিলাম
তাও এই ঘরের শত্রু বিভীষন ময়না পাখিটার সামনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।