বল বীর! চির উন্নত মম শির!
আবারও সেই ভয়াবহ ৯৬ সমাগত। হুজুগে বাংগালীর হুজুগ কাজে লাগিয়ে লুট করা হচ্ছে , সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে শেয়ারমার্কেটে। ৯৬ তে গিরি- মোদিরা ওপার থেকে এসে লুট করে চলে যাবার পর মন্ত্রী বলেছিলেন , 'আমি শেয়ার মার্কেট বুঝিনা'। এবারও লুট করছে লুটেরারা। বিনিয়োগকারীদের হুজুগকে কাজে লাগিয়ে গাছে তুলে দিয়েছে তারা, মই সরানোর দায়িত্বে নিয়েছে সরকারী সংস্থাগুলো।
বছরের শুরুতে ইনডেক্স ছিল তিন হাজারের ঘরে। বাজেটে এফডিআর , সন্চয়পত্রের সুদ কমিয়ে দেয়া হল। বলা হল শেয়ার মার্কেটের মৌলভিত্তিক শেয়ারগুলোর দাম অনেক কম। সাধারন মানুষ তাদের সন্চয় ভেংগে ছুটলো শেয়ারের পেছনে। ইনডেক্স বাড়তে থাকলো হু হু করে।
নব্বই ঘরে ইনডেক্স পৌছনের পর শুরু হলো লুটের খেলা। বছর শেষ । আর্থিক প্রতিস্ঠানগুলো ভাল লাভ করেছে তাই ভাল লভ্যাংশ পাবার আশায় মানুষের হাতে শেয়ার। হটাৎ করে আবির্ভুত হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সিআরআর বাড়িয়ে দিল, ইনভেস্ট ক্যাপাসিটি ১০ পার্সেন্ট করে দেয়া হলো।
পুজি কমার আতংক ছড়িয়ে পড়ল শেয়ার মার্কেটে , ততক্ষণে লাভ তুলে বেড়িয়ে গেছেন ওনারা। শেয়ার বেশীরভাগই আমজনতার হাতে। একের পর ভয়াভহ ধ্বস শুরু হলো মার্কেটে। সর্বস্বান্ত হতে শুরু করল নিজেদের সারা জীবনের সন্চয় ভেংগে নামা মানুষগুলো।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক হটাৎ করে কেন এই বিধিনিযেধ চালু করল? প্রতিটি ব্যাংক থেকে প্রতিমাসে ফান্ড ইউটিলাইজেশন স্টেটমেন্ট যায় অর্থাৎ শেয়ার মার্কেটে কোন ব্যংকের কত টাকা অনেক আগে থেকেই জানে তারা , তাহলে এতোদিন কিছু বলেনি কেন? বড় বড় ইনভেস্টররা কিভাবে আগে ভাগেই বের হয়ে গেল মার্কেট থেকে? বোঝাই যায় একটা লিংক আছে এসবের মধ্যে।
উদ্দেশ্য একটাই পাবলিকরে ডেকে নিয়ে এসে লুট করা। পাব্লিকের স্বার্থ দেখার মতো কি কেউ নেই? আছে। তারা কি করছে? গতকাল র্যাব আর পুলিশ দিয়ে পুরা মতিঝিল ঘিরে রেখে পাব্লিকের আর্ত চীৎকার কে চাপা দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালনের নমুনা দেখিয়েছেন ভালমতোই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।