মন ভালো নেই। আজকে আর আমি কিছু লিখতে পারবো না। ইচ্ছে ছিলো একটি রম্য পোষ্ট দিব। পোস্টটি লেখাও শেষ কিন্তু কিছুতেই প্রকাশ করতে পারলাম না। স্টিকি করা ফেলানীর পোস্টের কথা মনে পড়ল।
বার বার ফেলানীর কথা মনে পড়ল। কি নিষ্পাপ জীবনের কি করুণ পরিনতি! মনে মনে বলেছি- ফেলানী তুমি একাই শুধু মরোনি, তোমার সাথে মানবতার মৃতু্ ঘটেছে। সকল নিয়ম মানুষের মঙ্গলের জন্য। মানুষের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু ফেলানীকে এভাবে মারা বর্বরতাকে প্রকাশের জন্য।
নির্মলেন্দু গুণের একটি কবিতার কথা মনে পড়ে
ফিরে এসো নিরঞ্জণ
মৃতু্তে থামে উৎসব
জীবন এমনি প্রচন্ত, প্রচুর।
তাইতে কংশের জলে মুখ ধুয়ে
নিরঞ্জণ ফিরে আসে, নক্ষত্রের
সোনালী আগুণভরা রাতে।
কল্লোলিত জীবনের হাতে
হাততালি দিয়ে ফের হেসে ওঠে,
সূর্যের চুম্বনে ধাক্কা খেয়ে
রূপালী গর্জনে যেরকম
ফোঁসে রুদ্র সমুদ্রের ঢেউ।
শিশুর দাঁতের মত পবিত্র জীবন
নিয়ে এসেছিল নিরঞ্জন।
নিরঞ্জন ছিল শুল্ক পক্ষের প্রতীক,
পরাজয় মানে না যে জন
পরাভব মানে না যে প্রাণ,
সেই শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞান
তার অন্ত্যরে ছিল দীপ্যমান।
তবু বৈরী সময়ের বিষ
তার সমস্ত তৃষ্ণার মুখে
ছড়িয়েছে বিতৃষ্ণার
কৃষ্ণপক্ষ ছায়া। তার স্বপ্নগৃহ
ভষ্মীভূত হয়ে গেছে
দুঃস্বপ্নের খান্ডব দহনে,
সে এখন স্বপ্ন ভষ্ম ছড়াতেছে
পৃথিবীর পথে।
এই মূর্খ অবিবেকি পৃথিবীর সাতে
কেন হেন অভিমান?
মানুষ তো আজো সেই অভূজ শিশুটি,
খেলনা পুতুল গুলিকেই
চুড়ান্ত ঐশ্বর্য ভেবে
যে শুধু আগলে রাখে হিংসুটের মতো
প্রাজ্ঞ হোক আগে,
তার পর তাকে শাস্তি দিয়ে
তুমি চলে যেও চির পৃথিবীতে
তার আগে নয়।
যদি মনে হয় ওটা ছল করে বাঁচা
তবে তাই হোক,
তবু তুমি এখন যেয়ো না।
নিরঞ্জণ ফিরে এসো, ফিরে এসো, ভাই
ফিরে এসো ভাই।
আবার কংশের জলে মুখ ধুয়ে
ফিরে এসো জীবন গঙ্গায়,
সঙ্গমে
সংগ্রামে,
জীবনের অশেষ বিস্ময়ে,
সুখে-দুখে, আনন্দ-বেদনায়,
ফিরে এসে রাজপথে আবার দাঁড়াও,
ভোরের হাওয়ায় বুক ভরে
প্রচন্ড নিশ্বাস টেনে বলো;
'চমৎকার, কি দুর্দান্ত চমৎকার
এই মনুষ্য জীবন............। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।