জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়
ফেলানীকে আড়াল করতে চায় তারা
বার বার যখন সুসভ্যতার অহঙ্কারে স্ফীত বুকের সামনে
লাশ হয়ে কাটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানী
তখন তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়
ঝুলে থাকা দেহ থেকে যখন টপ টপ করে রক্ত ঝড়ে
ভিজিয়ে দেয় তাদের নাক মুখ
তারা বিচলিত হয়।
ফেলানীর আত্মা যখন বিচার না পেয়ে প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায়
হানা দেয় প্রতিনিয়ত- তখন তারা চিতকার করে উঠে
ফেলানীর ঝুলে থাকা বিভতস্য লাশটা সরাও বলে
তারা দূরে থাকতে চায় ফেলানী থেকে
ভয় পায় মৃত ফেলানীকে
তাই আমি বলি, বার বার ফিরে এসো ফেলানী
ততক্ষণ শান্তি দিওনা তাদের যতক্ষণ তাদের সভ্য দাবির অহঙ্কার
ধুলোর সাথে মিশে না যায়।
তুমি বার বার আসবে, শতবার আসবে
তোমার রক্তমাখা নাক মুখ, ভিজে যাওয়া চুল দিয়ে তাদের নাকে মুখে আঘাত করে যাবে অনন্তর।
সভ্য দাবীদার সুশীল, কাল্পনিক দাগ দিয়ে দেওয়াল তোলা মানুষগুলোকে তুমি রেহাই দিও না।
তুমি পারবে, কারণ তুমি এখন অশরীরি
বার বার চোখের সামনে ঝুলে থাকবে
তোমার রক্তে ভেজা চুল দিয়ে আঘাত করবে বাতি নেভানো অন্ধকার বিছানায়।
কোন তখত তাউসের মালিকও যেন রেহাই না পায় তোমার হাত থেকে।
এরা সেই কুলাঙ্গার
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।