উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম। বার্সায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় নেইমারের ওজন ছিল ৬৪.৫ কেজি। ক্লাবের চিকিৎসক রিকার্দো প্রুনা তখনই জানিয়েছিলেন, ওজন বাড়াতে হবে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডকে। কিন্তু নেইমারের ওজন তো বাড়েইনি, উল্টো সাত কেজি কমেছে।
সদ্যই বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ডের টনসিলে সমস্যা ছিল।
ন্যু ক্যাম্পে আসার ঠিক আগেই টনসিলে অস্ত্রোপচার করিয়ে এসেছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের অভিমত, তাঁর এখনকার রক্তশূন্যতা ওই অস্ত্রোপচারের কারণেই। ওই অস্ত্রোপচারই ওজনহানির কারণ হচ্ছে তাঁর। নেইমারের বাবাও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই সাত কেজি ওজন করেছে তাঁর ছেলের।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, নেইমারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁর বাবা ও চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন।
শারীরিক কারণে নেইমারও ভালো নেই। তাঁর বাবার কথায়ও তা স্পষ্ট, ‘নেইমার আমাকে বলেছে, সে স্বাভাবিক বোধ করছে না। অনুশীলনের পর তার খুব ক্লান্তি লাগে। আমার মনে হয়, অস্ত্রোপচারের কারণেই ওর শরীরের এ অবস্থা হয়েছে। ’ ওজন কমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও আশার কথাই জানিয়েছেন নেইমারের বাবা, ‘সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ওজন বাড়ানোর জন্য যা দরকার, সব পদক্ষেপই নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ’
স্প্যানিশ পত্রিকা ‘এল পাইস’ গত শনিবার জানায়, শরীরের রক্তশূন্যতার লক্ষণ খুঁজে পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরে খবরটা নিশ্চিত করে বার্সা কর্তৃপক্ষ জানায়, রক্তশূন্যতা দেখা দিলেও দলের সতীর্থদের সঙ্গে স্বাভাবিক অনুশীলন চালিয়ে যাবেন ২১ বছর বয়সী এই তারকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।