নেইমারের পিছু ছুটেছিল রিয়াল মাদ্রিদও। বার্সেলোনা যত দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি দরও হেঁকেছিল রিয়াল। কিন্তু নেইমার শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছেন বার্সেলোনাকেই। এ নিয়ে রিয়াল-সমর্থকদের মনে যে হতাশা ছিল, সেটা কর্পূরের মতো উবে গেছে গ্যারেথ বেলের আগমনে। শুধু তা-ই নয়, মাদ্রিদের সংবাদমাধ্যম ও সমর্থকদের দৃষ্টিতে নেইমারের চেয়ে বেল নাকি ঢের ভালো!
মাদ্রিদের শীর্ষ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা একটি জরিপ করেছে সম্প্রতি।
তাতে উঠে এসেছে, ৬০ শতাংশ পাঠক মনে করেন, বার্সার নেইমারকে সই করানোর চেয়ে রিয়ালের বেলকে সই করানোই বেশি ভালো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রিয়ালের সাবেক সভাপতি র্যামন ক্যালদেরনও মনে করেন, বেলই সেরা। কারণ বেলের আছে বুলেট গতির নেওয়া শট। বেলকে এনে রিয়াল তাদের দলের সর্বশেষ শূন্য জায়গাটিও পূরণ করেছে বলে মনে করেন তিনি। শুধু লা লিগার সাফল্যই নয়, বেল রিয়ালকে তাদের পরম আরাধ্যের দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিটাও এনে দেবে বলে আশাবাদী ক্যালদেরন।
রিয়াল-সমর্থকেরা আনন্দে ভাসছেন ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা বেদনার্ত মেসুত ওজিল আর্সেনালে চলে যাওয়ায়। বেল আসার ফলে দলের শক্তি যতটা বেড়েছিল, তার অনেকটাই ওজিলের প্রস্থানের কারণে কমে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। ২০১০-এ রিয়ালে আসার পর থেকেই মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন ২৪ বছর বয়সী এই জার্মান। বেলের আগমনের ডামাডোলের মধ্যেই আর্সেনালে চলে গেছেন ওজিল। তবে প্রস্থানটি ‘নীরব’ হয়নি।
মাদ্রিদের সংবাদমাধ্যমগুলো বেলের আগমনের মতোই গুরুত্ব দিয়েছে ওজিলের প্রস্থানটিকে। ক্রীড়া দৈনিক এএস তাদের ওয়েবসাইটে এমন একটি ফুটেজ দিয়েছে, যেখানে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন, বেলকে উপস্থাপনার সময় যেন ওজিলের নাম ধরে কেউ স্লোগান না দেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।