লিওনেল মেসি ছিলেন নিষ্প্রভ। নেইমারও খেলছিলেন বাজে। কিছুতেই গোলমুখের গেরো খুলতেও পারছিল না বার্সা। বারবার তাদের সব আক্রমণ প্রতিহত হচ্ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণদুর্গে। ৬৮ মিনিটে যখন খেলোয়াড় বদলির সিদ্ধান্ত নিলেন জেরার্ডো মার্টিনো, মনে হচ্ছিল নেইমারকেই বুঝি তুলে নেবেন।
অ্যালেক্সিস সানচেজ আর পেদ্রো যে বেঞ্চ গরম করছিলেন।
সানচেজ নামলেন। কিন্তু তাঁর বদলে যাঁর উঠে আসার কথা সেই নেইমার মাঠেই থাকলেন। শুধু তা-ই নয়, এই বদলির তিন মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোল করে নেইমার বার্সেলোনাকে বড় বিপদ থেকেও বাঁচালেন। পুরো ম্যাচে নেইমার-সুলভ মুহূর্ত এসেছে খুব কমই।
কিন্তু নেইমারের একটা স্পর্শ বা মুহূর্তই হিসাব যে পাল্টে দিতে পারে, সেটা বোঝা গেল আবার। যাঁর দারুণ এক থ্রু পাস ধরে নেইমার গোলটা করেছেন, সেই আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাও বলছেন, নেইমারের স্পর্শে যেন জাদু আছে!
ইনিয়েস্তা বলেছেন, ‘নেইমার এক অমিত প্রতিভা। মাত্র একটি মুহূর্ত, একটি মোচড়ে সে খেলার ফল বদলে দিতে পারে। ’ গতকালের গোল নিয়ে বললেন, ‘ওর গোলে আমরা ভীষণ খুশি। এখন এ গোলের গুরুত্ব নিশ্চিত করতে নিজেদের মতো করেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে (পরের লেগে)।
’
চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশাবাদী ইনিয়েস্তা। বললেন, ‘ওদের মাঠে আমাদের জেতার সামর্থ্য নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। সন্দেহ নেই আমাদের খেলার ধরন কিংবা দল নিয়েও। লড়াই উন্মুক্ত রয়েছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাদ্রিদে যাব।
জানি, এটি কঠিন হবে। কিন্তু লক্ষ্য পূরণে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা মাদ্রিদে যাব। ’
৯ এপ্রিলের ফিরতি লেগে মাদ্রিদে যাওয়ার আগে নেইমার এই ভেবে উজ্জীবিত হতে পারেন, বার্সেলোনায় পা রেখেই অ্যাটলেটিকোর মাঠে করা তাঁর গোলে মৌসুমের শুরুতে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিল বার্সা! ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।