ঈদের আগে বুধবার আরেকটি কর্মদিবস থাকলেও শবে-কদরের ছুটি থাকায় ‘অঘোষিত’ ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে মঙ্গলবার থেকেই। ফলে বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই মানুষের ভিড়ে সয়লাব হয়ে ওঠে গাবতলী, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বাস কাউন্টারগুলো।
অবশ্য ঈদের পর জামায়াতে ইসলামীর ৪৮ ঘণ্টার হরতাল থাকায় অনেকেই আগাম কিনে রাখা টিকেট ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে বিভিন্ন কাউন্টারের কর্মীরা জানান। এ কারণে গত বছরের তুলনায় ঈদের দুই বা তিন দিন আগের সেই ভিড় এখনো পুরোপুরি জমেনি বলে তারা মনে করছেন।
গাবতলীর সৌখিন পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. মুজাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগাম টিকেট বিক্রির প্রথম দুদিনেই প্রায় সব টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ঈদের পর ১২ ও ১৩ অগাস্ট জামায়াত হরতাল ডাকায় অনেকে টিকেট ফেরত দিচ্ছেন। ”
মুজাহিদের মতো একই কথা বললেন কলেজগেইট এলাকায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের প্রধান বুকিং অফিসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক রনি।
অনেকে টিকেট ফেরত দেয়ায় আগে থেকে টিকেট না কেটেও মঙ্গলবার সকালে গাবতলীতে এসে টিকেট পেয়েছেন যশোরের যাত্রী হাসিবুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মনে করছিলাম টিকেট পাইতে ঝামেলা হবে। তবে সহজেই পাইছি।
”
শ্যামলীর বাবলু পরিবহন, কল্যাণপুরের এসআর ট্রাভেলস, টিআর ট্রাভেলস, আসাদ গেইটের শ্যামলী পরিবহন, গাবতলীর নাবিল পরিবহন, ঈগল পরিবহন, রোজিনা পরিবহন এবং পাবনা এক্সপ্রেস কাউন্টার ঘুরে ভিড় দেখা গেলেও সময়মতো বাস পেতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানালেন যাত্রীরা।
বিশেষ ট্রেন
ঈদ সামনে রেখে ‘চারগুণ’ বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে মঙ্গবার সকালে ঈদের বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, প্রথম বিশেষ ট্রেনটি সকাল ৭টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে গেছে ৪০ মিনিট পরে।
এছাড়া ঈদের আগে এবং পরে ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও খুলনায় দুই জোড়া এবং চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে চলাচল করবে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন।
সকালে বাস টার্মিনালে ভিড় দেখা গেলেও কমলাপুর ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক।
চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস এবং দেওয়ানগঞ্জগামী ‘ঈদ স্পেশাল’ ছাড়া প্রায় সবগুলো ট্রেনই নিধারিত সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত রেলে শিডিউল বিপর্যয়ের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আর সকালে ভিড় না থাকলেও দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার খায়রুল বশীর।
ঈদের পর হরতালের মধ্যে ট্রেন চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “হরতাল থাকলেও রেল চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।