'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের চেষ্টা চলছে'
ঢাকা, জানুয়ারি ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ বাস্তবায়নের নামে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এপিইউবি নেতারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) নেতারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ওই আইনের মাধ্যমে 'নীল নকশা' বাস্তবায়ন করছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব এম আলিমউল্লাহ মিয়া।
তিনি বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী সেপ্টেম্বর ২০১১ (ফল সেমিস্টার) এর পর কোনো প্রোগ্রাম বা কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।
গত ১২ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ঠিক রাখার পূর্বশর্ত হিসেবে স্থায়ী অবকাঠামো বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এখনো ৪৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ শর্ত অনুযায়ী স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারেনি। সরকার পাঁচটি ক্যাটাগরিতে দেশের ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাগ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে আলিম উল্লা মিয়া বলেন, শিক্ষাক্রম সম্প্রসারণ ও ভর্তি বন্ধ না করে পাঁচ বছর সময় দিলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়টি কিছুটা সম্ভব হতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সহসভাপতি আবুল কাসেম হায়দার বলেন, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই পাঁচ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপার্জন কমে যাবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে টানানো ইংরেজিতে লেখা ব্যানারে বাংলাদেশ, ইমপ্লিমেন্টেশন ও জানুয়ারিসহ বেশকিছু বানান ভুল থাকায় সাংবাদিকদের কাছে সমিতির নেতারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
এক পর্যায়ে আবুল কাসেম হায়দার ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে এম এ আবু তাহের, রফিকুল আলম, বেনজির আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।