আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বকাপের টিকিট-অতঃপর হতাশা, অতঃপর আক্কেল সেলামি

সাধারণ মানুষ, কিন্তু এই দেশে সাধারণের দাম নেই

বিশ্বকাপের টিকিট নামক জিনিসটার প্রতি আগ্রহ তখন জম্নাল যখন এটা বলা হচ্ছিল সোনার হরিন। ভাবলাম দেখি ধরা যায় কিনা। চিন্তা করেছিলাম শুক্রবার (১-জানুয়ারী) সন্ধার দিকে যেয়ে লাইন এ দারাবো যাতে আগে দারানো যায়। তবে কি মনে হল আমি আর আমার ফ্রেন্ড সকালেই পরিস্থিতি দেখতে বের হলাম বাড়ির পাশে কারওয়ান বাজার সিটি ব্যাংকে। যেয়ে দেখি সকাল ১১ টায় অলরেডি ১৫ জন বসে আছে এবং তখন ই সিরিয়াল দিয়ে, ফ্রেন্ডকে বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে কাপর চোপর নিয়ে আসি।

শুরু হল সিরিয়াল আর অপেক্ষা। সময় যায় আর মানুষ বাড়ে। আমি চিন্তা করলাম আমার সিরিয়াল ১৫ নাম্বার এ, ঠিক ই পাবো। কিন্তু কিছু পোলাপান আইসা ঝামেলা পাকাইয়া সিরিয়াল এর ১২ টা বাজায়ে দিল এবং র‍্যাব কতৃক আমাদের অনেক কষ্টের সিরিয়াল এর বাতিল ঘোষনা। যাই হোক, সবাই তখন গেট এর কাছে লাইন ধরে বসে থাকলাম।

সারা রাত ঘুম হলনা, খাউয়ার কোনো ছিরি ছিলনা, পুরো সিড়ি যুরে প্রায় ৩০০০ লোকের অনড় অবস্থানের কারনে প্রকৃ্তির ডাকে সারা দেয়া প্রায় অসম্বব হয়ে পড়ল। কষ্ট সহ্য করে সারা রাত থাকার পর, সকাল ১০ টা থেকে শুরু হল টিকিট দেয়া, যার প্রথম ২ ঘন্টা সিটি ব্যাংক খেয়ে নিলো তাদের সার্ভার অন করতে। ১২টা থেকে টিকিট দেয়া শুরু হল, আমাদের লাইন তখন ১০টা, প্রতি লাইন থেকে ১ জন করে ১০ জন ঢোকাতে শুরু করল আমার সিরিয়াল তখন ৯ জনের পেছনে। টিকিট দেবে ৪৮০ টা। ভেবেছিলাম হয়ত পাবো।

সারা দিন পার হয়ে বিকাল ৪ টা বাজলে যখন নিজের পালা আসলো, তখন ই ফুলিশ (পুলিশ) মামারা তাদের একশন শুরু করে দিল, এবং যথারীতি লাইন এর ১২। ৪৫ বাজায়ে আমরা একদম নিচে পা ২টা এমন ব্যাথা হয়েছিল সারা দিন দাঁড়িয়ে থেকে যে নতুন পা লাগানোর যোগার হয়েছিল, মাথা কাজ করছিলনা, ক্ষুধা কি রকম লেগেছিল সেটা আমিও বলতে পারব ও না। পাক্কা ২৯ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে এই অবস্থার পর বিশ্বাশ করতে কষ্ট হচ্ছিল যে টিকিট পাই নি। যাহোক, বাসায় এসে ব্যাথা শরির নিয়ে বিছানায় কোথায় হারিয়ে গেলাম তা জানিনা, ঘুম ভাঙ্গার পর একটি মাথায় বাজ পড়ার মত খবর শুনলাম, খবরটা হল, আমার জন্যে ৪ টা ম্যাচের ভি আই পি গ্যালারির টিকিট রাখা হয়েছে । তখন মনে পড়ল, আমার একজন ভি আই পি আত্বিয় আছে, এবং তার কাছ থেকে এই নিউজটা নাকি দুপুরেই পাউয়া গেছে।

নিজেরে কি কমু, তখন বুঝতে পারলাম না আম জনতার মতই টিকিট কিনতে গেসিলাম, এবং আম না খেয়েই বাড়ি ফিরেছিলাম, কখনই ফ্রি এক্সপেক্ট করি নাই যদিও এর আগে বহুত পেয়েছি, তবে এবার পেয়ে আসলেই একটু ভাল লাগছে কারন কষ্টটা করেই পেয়েছি, মনে হয় দাম টা উসুল হয়ে গেছে , তবে অনেকেই আমাদের চোখের সামনে দিয়ে লাইন ছারাই টিকিট কিনেছেন পুলিশের সহয়তায়, বেশির ভাগ ই ওই বিল্ডিং এর ভেতরের লোক। কিছুই বলার ছিলনা, কারন আমরা আম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.