শিশুদের ধরে নিয়ে অঙ্গহানি ও বিকলাঙ্গ করা ছাড়াও শিশু পাচারের সঙ্গেও এই শিশুচোর চক্র জড়িত। এ চক্রের সদস্যরা কোনো অপরাধের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে তাদের ছাড়িয়ে নিত পুলিশের কয়েকজন এসআই। শিশু চুরিসহ বেশ কিছু অপরাধের দায়ে শরীফুল ইসলাম ওরফে কোরবান বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ছাড়িয়ে নেয়। র্যাব হেফাজতে এ কথা বলেছে, শিশুচোর কোরবান।
কোরবান স্বীকার করেছে, পুলিশের ৫ জন এসআই কামরাঙ্গীরচর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি তৈরির সময় পরিচয় হয় শিশুচোর চক্রের প্রধান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুকের সঙ্গে। ওই এসআইদের নানাভাবে সহযোগিতা করত ওমর ফারুক। বিনিময়ে ওমর ফারুক গংদের যে কোনো অপরাধে গ্রেপ্তারের হাত থেকে রা করতেন তারা। ওমর ফারুকের চক্রের সঙ্গে রয়েছে নাহিদ, সালাউদ্দিন, নাজমা, রনি, রমজান, সাদ্দাম, সাইফুল, ইমরান ও রাসেল। প্রতি মাসে ওই এসআইদের মাসোহারাও দিত এই ওমর ফারুক।
এক প্রশ্নের জবাবে কোরবান জানায়, ওই পুলিশ সদস্যরা শিশুদের দিয়ে ভিা করানোর কথা জানত। কিন্তু শিশুদের যে বিকলাঙ্গ করে ভিা করতে বাধ্য করা হয় তা তারা জানত কিনা তা তার জানা নেই। কোরবান জানিয়েছে, গোয়েন্দা পুলিশের এক এসআই প্রতিনিয়ত ফারুকের কাছ থেকে টাকা নিত। কামরাঙ্গীরচর থেকেই এই চক্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করে ওমর ফারুক। তার অধীনে বর্তমানে রাজধানীতে অর্ধশত শিশু ও যুবক ভিা করছে।
এ থেকে প্রতিদিন আয় হয় কমপে ১৫ হাজার টাকা। এই টাকার ভাগ ওই এসআইরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশও পায়।
র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে.কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, কোরবানের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে যখন যাচাই করে দেখি, তখন বিস্মিত হই যে, এদের কারা শেল্টার দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাস্তার প্রতিটি সিগন্যালে যেসব মহিলারা শিশুদের নিয়ে ভিা করে তাদের চলার পথে রাজধানীবাসীর জিজ্ঞাসা করা উচিতÑ আসলে বাচ্চাটি কার? তাহলে দেখবেন ওই মহিলার বাচ্চা না হলে দ্বিতীয় দিন আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিা করবে না। কারণ তখন ওর মনেও ভয় জাগবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।