বছরের সেরা ১০ চাকরি
বছর শেষে কত কিছুরই না সালতামামি হয়। চাকরির বাজারই বা বাদ থাকবে কেন? ক্যারিয়ার কাস্ট ডট কম নামের একটি ওয়েবসাইট সেটাই করেছে। পুরো পৃথিবীর বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ চালিয়ে বছরের সেরা ১০টি চাকরির তালিকা প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ার কাস্ট। মোট ২০০ নম্বরের এই জরিপে সবচেয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি হয়েছে সেরা। এই বিচার-বিশ্লেষণের পেছনে ছিল পাঁচটি মানদণ্ড।
সেগুলো হলো: ১. কাজের চাপ, ২. কাজের পরিবেশ, ৩. কায়িক পরিশ্রম, ৪. আয় এবং ৫. হায়ারিং আউটলুক। কাজের চাপ, কায়িক পরিশ্রম ও হায়ারিং আউটলুক যে প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে কম, সেই প্রতিষ্ঠানটিই যোগ্য প্রার্থীদের আকর্ষণের জায়গা, মানে সেরা চাকরি। অন্যদিকে আয় ও কাজের পরিবেশ যত ভালো, নম্বরও বেশি। সব মিলিয়ে এই কমবেশি স্কোরের যোগফল নিয়েই এ জরিপ
১. অ্যাকচুয়ারি (বিমা হিসাবরক্ষক)
অ্যাকচুয়ারি পেশাটির আক্ষরিক অর্থ বিমার কিস্তির পরিমাণ গণনায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি, এককথায় বিমা হিসাবরক্ষক। আরও সহজ করে বললে দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, মৃত্যু ও চুরি কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে খোয়ানো সম্পত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করাই আহিলকারীদের কাজ।
পরিমাণ নির্ধারণের পাশাপাশি বিমার কিস্তি নির্ধারণও এই পেশাজীবীদের দায়িত্বভুক্ত। মোটকথা, এই পেশাজীবীরা বিমাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
স্কোর: ৪৬। আয়: ৮৫ হাজার ২২৯ ডলার (বার্ষিক)।
২. সফটওয়্যার প্রকৌশলী
মেডিকেল, বিজ্ঞান ও শিল্পকারখানার জন্য সফটওয়্যার ডিজাইন, গবেষণা, উন্নয়ন ও সফটওয়্যার সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ করাই সফটওয়্যার প্রকৌশলীর কাজ।
পাশাপাশি হার্ডওয়্যার তৈরিও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
স্কোর: ৬৬। আয়: ৮৫ হাজার ১৩৯ ডলার।
৩. কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট
কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্টরা ব্যবসা কিংবা বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি ও বিভিন্ন পরিকল্পনা করে থাকেন।
স্কোর: ৭৭।
আয়: ৭৬ হাজার ১৬২ ডলার।
৪. জীববিজ্ঞানী
পরিবেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা জীববিজ্ঞানীদের কাজ।
স্কোর: ১২৩। আয়: ৭১ হাজার ২৭৯ ডলার।
৫. ইতিহাসবেত্তা
ইতিহাসবেত্তারা নির্দিষ্ট একটি সময়ের ঐতিহাসিক তথ্য নিয়ে গবেষণা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
গবেষণার পাশাপাশি তাঁরা ঐতিহাসিক তথ্যগুলো সম্পর্কে মূল্যায়নও করে থাকেন।
স্কোর: ১৩২। আয়: ৬২ হাজার ২২৬ ডলার।
৬. গণিতবিদ
একজন গণিতবিদ শুধু যে শিক্ষকতা পেশায় সীমাবদ্ধ থাকেন তা কিন্তু নয়। শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবসা ও শিল্পকারখানার জন্য যেকোনো গাণিতিক সমস্যা সমাধানও তাঁর অন্যতম আয়ের উৎস।
স্কোর: ১৩৩। আয়: ৯৫ হাজার ১৬১ ডলার।
৭. আইনজ্ঞ সহকারী
আইনসংক্রান্ত দলিল-প্রমাণ, এফিডেভিট, সাক্ষ্য সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণে আইনজীবীকে সহায়তা করাই আইনজ্ঞ সহকারীর দায়িত্ব। পাশাপাশি আইনসংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান, গবেষণা ও যাচাই-বাছাইও এই পেশাজীবীদের কাজের আওতাভুক্ত।
স্কোর: ১৭৯।
আয়: ৪৬ হাজার ১৫২ ডলার।
৮. পরিসংখ্যানবিদ
গবেষণা ও পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত যেকোনো তথ্য তালিকাভুক্ত, যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করে সংখ্যাভিত্তিক ফল জানানোই পরিসংখ্যানবিদের কাজ।
স্কোর: ১৮৭। আয়: ৭৩ হাজার ১৯৩ ডলার
৯. হিসাবরক্ষক
হিসাবরক্ষক পেশাজীবীরা ব্যবসা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের ব্যবস্থাপনায় অর্থসংশ্লিষ্ট ফলাফল তৈরি ও বিশ্লেষণ করে থাকেন।
স্কোর: ১৯০।
আয়: ৫৯ হাজার ১৭৬ ডলার
১০. ডেন্টাল হাইজিনিস্ট
এই পেশাজীবীরা ডেন্টাল প্র্যাকটিসে চিকিৎসকদের বিভিন্ন ডায়াগনসিস ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করে থাকেন।
স্কোর: ১৯৮। আয়: ৬৭ হাজার ১০৭ ডলার।
শুধু সেরা চাকরিই বাছাই করেনি ক্যারিয়ার কাস্ট ডট কম, খুঁজে বের করেছে ২০১০ সালের সেরা ১০টি বাজে চাকরিও। সেই বাজে ১০-এর সবার ওপরে আছে সমুদ্র ও তীরবর্তী জাহাজের তেলের পাইপলাইনের কাজ।
এর পরের পেশাগুলো হলো: ২. করাতি, ৩. লৌহশ্রমজীবী, ৪. দুগ্ধ ব্যবসায়ী, ৫. ঢালাইকার, ৬. আবর্জনা সংগ্রাহক, ৭. ট্যাক্সিচালক, ৮. নির্মাণশ্রমিক, ৯. মিটার রিডার এবং ১০. ডাকপিয়ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।