মানুষ বাচেঁ তার কর্মে!
প্রায় দশ মাস টানা বিরতির পর ব্লগে লিখছি...ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা প্রার্থনীয়
ইদানীং, মিডিয়াতে একটা ব্যাপার নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে- সেটা হল RAB এর ক্রসফায়ারে নিরীহ মানুষ হত্যা । যা মোটে ও কোনো সচেতন নাগরিকের কাম্য নয় । যাই হোক মূল ঘটনায় আসি...
বাপ্পী, আরিফ ও বাবু নামের তিনজন হতভাগ্য মানুষ –তাদের প্রাণ হন্তারক হিসেবে দারুণ একটি দায়িত্ব পালন করেছে Rapid Action Battalion Team.
তদন্ততে জানা যায় যে, বাপ্পী এবং RAB এর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান বাপ্পী এক ব্যক্তি নন ।
RAB এর সোর্সের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ক্রসফায়ার নামের হত্যাকান্ডের শিকার হন নিরীহ কায়সার মাহমুদ বাপ্পী । একই অবস্থা আরিফ এবং বাবুর ক্ষেত্রেও । আরিফের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলে- ভোঁতা অস্ত্রের প্রচন্ড আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে । মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে তার চায়ের দোকান থেকে তারই সমবয়সী আরেকজনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে প্রথমে ডিবি অফিসে নেয়া হয় এবং দুইদিন পরে তাকে মেরে ফেলে বলা হয়- RAB এর সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়েছে! এ কেমন অরাজকতা!? আমার মাথায়-ই আসে না একজন নিরস্ত্র মানুষকে ধরার ২ দিন পর সে কিভাবে, কি দিয়ে RAB এর সাথে বন্দুকযুদ্ধ করে?!!
আর সবচেয়ে মজার এবং হাস্যকর বিষয় হল- RAB এসব মহাগুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য যেসব সোর্সের কাছ থেকে পেয়েছে- তারা কেঊ মাদকাসক্ত, কেওবা নিজেই আসামী !
এই যদি হয় আমাদের দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিচ্ছবি, তাহলে সাধারণ আমজনতা মানে আমরা কিরকম নিশ্চিন্তে বা দুঃশ্চিন্তায় থাকতে পারি বা থাকা উচিত তা আমার চেয়ে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন ।
এহেন পরিস্থিতিতে, সরকার যদি এসব আইন ও সংবিধানবহির্ভূত কাজের বিরুদ্ধে অচিরেই কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আরো কত নিরীহ মানুষ নিরীহভাবে ক্রসফায়ারে মরেও সন্ত্রাসী আখ্যা পাবে ! কে জানে?!
বলা হবে, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ধলা মিয়া RAB এর সাথে এনকাউন্টারে শহীদ থুক্কু নিহত হইয়াছে ! উভয়পক্ষে প্রায় ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়াছোড়ি হইয়াছে !
অতঃপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যাবে, মাত্র একটি বুলেটের খোসা পড়ে আছে, তাও কুখ্যাত সন্ত্রাসী মরহুম ধলা মিয়া’র পাশে ! আর বাকী এত রাউন্ড যে গোলাগুলি যে হল- সেগুলো কোথায়? এর উত্তরে বলতে হয়-
ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।