আল-কায়েদার অডিওবার্তার সঙ্গে বিএনপিসহ যাঁদের সম্পর্ক পাওয়া যাবে তাদের বিচার করা হবে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

'যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ আল-কায়েদার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছে'- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, আপনার কথা শুনে মনে হয় 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না। ' তিনি বলেন, আপনারা জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় মদদ দিয়েছেন এটা প্রমাণিত। আপনার দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আপনার দলের বড় নেতা দাঊদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেছে।

মুফতি ইজহারুলকে আপনারাই প্রশ্রয় দিয়েছেন। গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তাই শুধু জঙ্গিদের বিচার করা হবে না। এরসঙ্গে যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিচার করা হবে। ' 

সাংসদ মাহবুব উল হানিফ বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি নেতারা যেভাবে লাদেনের মতো ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতো, ঠিক সেইভাবে আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি অডিওবার্তা দিয়েছেন।

এর সত্য-মিথ্যা এখনো অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ কথা ভাবার অবকাশ নেই যে বাংলাদেশে আল-কায়েদার নেটওয়ার্ক নেই। মুফতি ইজহারুল আফগানিস্তান থেকে ফিরে এসে লিখলেন 'ঘুরে এলাম স্বপ্নের আফগানিসত্মান'। সুতরাং তাদের মতো অনেকেই থাকতে পারে।

হানিফের দাবি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনবার জাওয়াহিরি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগসূত্র নতুন নয়। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই তাদের এই জঙ্গি কানেকশন। তবে আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তৈয়বা যেই হুমকি দিক না কেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি হতে দেওয়া হবে না। জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইতিহাস সংরক্ষণ প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৩ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বদরুল আলম স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য নাজু, সাহসীকতার জন্য ঝর্ণা বেগম, সেবায় জয়নাল আবেদিন, তাজুল ইসলাম, কিশোর বেলাল, ভাষা সৈনিক আফজালুন্নেসা, কর্নেল (অব.) ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ডা. সাঈদ হায়দার, ড. আহমদ রফিক, বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ডা. চেৌধুরী হাফিজুল আহসান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, রফিদ আহমেদ ও জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুকে মরনোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।

।