১৯৬০ সালে মানবসেবা ও ধর্ম প্রচারের জন্য জার্মানি থেকে ভারতবর্ষে আসেন । বর্তমানে
তাঁর বয়স ৮১ বছর। থাকেন পাকিস্তানে। চিরকুমারী। তা সত্ত্বেও তিনি অগণিত সন্তানের স্নেহময়ী জননী।
হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষ তাঁকে ‘আম্মা’ বলে ডাকে। পঞ্চাশ বছর ধরে যেখানেই মানুষ রোগ-শোক, জরা-ব্যাধি ও বিপর্যয়ে পড়েছে, সেখানেই ছুটে গেছেন তিনি। পুরো জীবন মানবসেবায় উৎসর্গ করা জার্মান বংশোদ্ভূত এ নারীর নাম রুথ ফাউ। তিনি একজন নান (খ্রিষ্টান ধর্মযাজিকা)। ‘পাকিস্তানের মাদার তেরেসা’ হিসেবে খ্যাত রুথ ফাউ এই ৮১ বছর বয়সে এসেও ঝিমিয়ে পড়েননি।
এবার তিনি পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় সর্বস্বান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পাকিস্তানে রুথ ফাউকে এতটাই শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয় যে তালেবান অধ্যুষিত এলাকাতেও তিনি সমান জনপ্রিয়। কুষ্ঠ রোগীদের সেবা দিতে একটি খুপড়ি ঘর তুলে সেখানে গড়ে তোলেন নিরাময় ক্লিনিক। কয়েক বছরে সেখানে তৈরি হয় দ্বিতল ভবনের কুষ্ঠ নিরাময়কেন্দ্র। ধীরে ধীরে তার সেবাকার্যক্রম বিস্তৃত হয়।
সেই কুষ্ঠ নিরাময়কেন্দ্রই আজকের ‘মেরি অ্যাডেলেইড লেপরোসি সেন্টার’, যার শাখা বর্তমানে পাকিস্তানের সব প্রদেশেই ছড়িয়ে আছে। কুষ্ঠ চিকিৎসায় রুথ ফাউয়ের কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালে সে দেশে কুষ্ঠরোধে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে।
শুধু কুষ্ঠ চিকিৎসাই নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ও রুথ ফাউ ছুটে গেছেন অসহায় মানুষের পাশে। ২০০০ সালে খরায় আক্রান্ত বেলুচিস্তানে ও ২০০৫ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত কাশ্মীরে দুর্গত মানুষের পাশে ছিলেন ফাউ। সর্বশেষ এ বছরের বন্যায় পাকিস্তানে প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেখানেই ফাউ তার সেবাকার্যক্রম চালাচ্ছেন।
আজকের প্রথম আলো তে প্রকাশ হয়েছে এ খবর । পড়ে খুব ভাল লাগল যে কাঠ খোট্টা জার্মান জাতির একজন এভাবে মানব সেবায় জীবন উত্সর্গ করেছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।