বিবেক বিবাগী নামটা শাহানা বাজপাই-এর কাছ থেকে ধার করা, খুব সুন্দর একটা শব্দ। তাই নিক হিসেবে দিলাম।
মূল খবর (কালের কণ্ঠ)
হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসাছাত্ররা ভর্তি হতে পারছে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ও 'ঘ' ইউনিটে মাদ্রাসাছাত্রদের অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্তারোপ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় গতকাল সোমবার ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এস কে সিনহা। ফলে আপাতত শর্তগুলো বহাল রইল।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের আবেদনে হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত করা হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে ১০টি বিভাগে মাদ্রাসাছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগ হলো ইংরেজি, বাংলা, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও উন্নয়ন। এসব বিষয়ে মাদ্রাসাছাত্রদের ভর্তিতে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পৃথক ২০০ নম্বর থাকতে হবে এমন শর্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে মাদ্রাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা উলি্লখিত বিষয়ে ভর্তির যোগ্যতা হারান। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাসাছাত্ররা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শর্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই শর্তারোপ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৫ ডিসেম্বর রায় দেন।
'ঘ' ইউনিটে ভর্তির সাক্ষাৎকার ৮-১১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে 'ঘ' ইউনিটের অধীনে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার আগামী ৮ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত পূর্বঘোষিত ক্রমানুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষাৎকার গ্রহণসংক্রান্ত অন্য সব শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিস্তারিত তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট admission.univdhaka.edu-এ দেখা যাবে।
কোন একটা সুস্থ বুদ্ধির মানুষই বোঝে যে একই দেশের নাগরিক হয়ে এরকম ডিসক্রিমিশন কতটা নির্মম ব্যাপার। বাংলা ও ইংরেজির নাম্বারের যে কথা বলা হয়, এটা খুবই হাস্যকর। কারণ শিক্ষা বোর্ডই তাদের এই সিলেবাস নির্ধারণ করে দিসে। এখন তারা সাধারণ ধারায় পড়া ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতা করে, তবে তো সেটা তাদের কৃতিত্ব।
এভাবে অনেকগুলো ভালো ভালো বিষয় নিতে না দেওয়াটা খুবই বাজে নিয়ম একজন মাদ্রাসার ছাত্রের জন্য। শিক্ষা ব্যবস্থার যদি ত্রুটি থাকেই তবে তার জন্য কেন মাদ্রাসার ছাত্ররা সাফারার হবে। এজন্যই হাইকোর্ট অনেক বিজ্ঞ রায় দিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় টা স্থগিত করে দিল। হাইকোর্টে কি কোন বিজ্ঞ বিচারক ছিলেন না? উনি সকল যুক্তি প্রমাণ বিবেচনা করেই কিন্তু রায় দিয়েছিলেন।
কিন্তু আপিল বিভাগে আবার এটা স্থগিত করে পথটা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সাধারণ ধারায় পড়াশোনা করেছি, তবুও আমি মনে করি মাদ্রাসার ছাত্রদের এমন ডিসক্রিমিশন হওয়ার কোন মানে হয় না। বরং এটা তাদের কৃতিত্ব যে তারা সাধারণ ধারায় পড়ালেখা করা ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতায় ভালোই করছে। যাহোক, আমি একটা জিনিস খেয়াল করলাম, সুপ্রিমকোর্ট-এর যে বিচারপতি রায়টা স্থগিত করেছেন, তার নাম "এস কে সিনহা"। অর্থাৎ তিনি মুসলমান নন।
তবে কি রায় দেওয়ার ব্যাপারে কোন সাম্প্রদায়িক বোধ কাজ করেছে? এটাই আমার প্রশ্ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।