জাতীয় জীবনে অতিসম্প্রতি ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এগুলো হলো (১) গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে ড. ইউনূসের অপসারণ (২) ফতোয়া সম্পর্কে সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শুরু (৩) তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনী বা বেআইনী, সে ব্যাপারে সূপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শুরু। আলোচনার শুরুতেই বলতে চাই যে, ৩টি বিষয়ের মধ্যে ২টি বিষয় অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ফতোয়া দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ড: ইউনূসের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আজ রোববার এই লেখাটি যখন প্রকাশিত হবে তার কিছুক্ষণ পর ড: ইউনূসের অপসারণ সম্পর্কে হাইকোর্টের রায় ঘোষিত হবে।
সুতরাং আমরা হাইকোর্টের রায় সম্পর্কে কিছুই লিখব না। অনুরূপভাবে ফতোয়া এবং কেয়ারটেকার সরকার সম্পর্কে যে রায় আসবে সেই রায়ের ব্যপারেও কিছু বলব না। যে বিষয়টি আমরা আজকের আলোচনায় আনব সেটি হলো, এই ৩টি বিষয় সম্পর্কে জনগণের মনোভাব এবং অনুভূতি সবকিছুই যেমন আইনের নিক্তিতে বিচার করা যায় না, তেমনি সবকিছুই যুক্তিতর্ক দিয়েও ফয়সালা করা যায় না। ইংরেজীতে তাই দুটি শব্দ রয়েছে একটি হলো ‘হেড'। আরেকটি হলো হার্ট।
অর্থাৎ মস্তিস্ক ও হৃদয়। কতগুলো বিষয় আছে যেগুলো নেহায়েত আবেগ অনুভূতির ব্যাপার। প্রথমে শুরু করছি ড. ইউনূসের অপসারণ প্রসঙ্গ দিয়ে।
সকলেই জানেন, ড. ইউনূস একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। এপর্যন্ত ৩ জন বাঙ্গালী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ।
এরা হলেন (১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২) ড. অমর্ত্য সেন এবং (৩) ড. মোহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের অবিশ্বাস্য উচ্চ সুদের হার নিয়ে দেশে অনেক কথা রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের কারণে দারিদ্র কতখানি দুরীভূত হয়েছে সেটি নিয়েও কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পত্র পত্রিকায় গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক কথা রয়েছে । আমি নিজে এবং আমার মতো অনেকে মনে করেন যে, ক্ষুদ্র ঋণের সুদের হার কাবুলিওয়ালাদের সুদের চেয়ে কম নয়।
তারপরেও বলব, ড. ইউনূস যখন নোবেল পুরস্কার পেলেন তখন দেশবাসী অত্যন্ত আনন্দিত হন। অন্তত একটি কারণে তারা আনন্দিত হন যে, যে ব্যক্তিই নোবেল পুরস্কার পান না কেন, অন্তত এই নোবেল বিজয় বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় পরিচিত করেছে এবং সন্মান দিয়েছে। তেমন একজন সন্মানী লোককে এমন অপদস্থ করে বিদায় না করলেই কি চলত না? আমরা প্রথমেই বলেছি, আবার এখনো বলছি যে ড. ইউনূসের সপক্ষে কোনো ব্রিফ ক্যারী করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নাই। কিন্তু আমরা সৌন্দর্য ও শালীনতায় বিশ্বাস করি। যেভাবে ড. ইউনূসকে বিতাড়িত করা হলো সেটা সৌন্দর্য এবং শালীনতার কোনো পার্যায়েই পড়ে না।
আইন কানুন বা যুক্তি তর্কের মধ্যে আমরা জড়াতে চাই না । কিন্তু সমাজের ওপরতলার নয়, বরং শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের মাঝেও কয়েকটি প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো হলো, সরকারই বলছে যে সরকারি চাকুরী হোক আর গ্রামীণ ব্যাংকের চাকুরি হোক, ৬০ বছর পূরণ হলেই সেই ব্যাংকের অফিসার বা কর্মচারীকে বিদায় নিতে হবে, অর্থাৎ অবসর নিতে হবে। প্রশ্ন হলো, ড. ইউনূসের বয়স এখন ৭০। সরকারের হিসাব মোতাবেক ১০ বছর আগেই তো অবসর দেয়ার কথা।
সেই অবসরের বয়স সীমা পার হওয়ার পরও তিনি অতিরিক্ত ১০ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের এম ডি থাকলেন কোন আইনে? আরেকটি কথা। যেহেতু বাংলাদেশ বাংকের একটি আইনের বলে তাকে অপসারণ করা হলো তাহলে সেই আইনের অধীনে অপসারণের যে পদ্ধতি রয়েছে সেইসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি কেন? কোনো ব্যক্তিকে অপসারণ করার আগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। অর্থাৎ অপসারণ কতৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে হবে যে কেন তাকে অপসারণ করা হবে না। সেই কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তরে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন। ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে তাঁর প্রতি কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি কেন? তাকে কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি কেন? এসব কোনো আইনী প্রশ্ন নয়।
জনসাধারণের মাঝে বিরাজমান অতি সাধারণ প্রশ্ন। সরকারের মাথায় কি আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিলো যে ৬০ বছর পর ৭০ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ বছর ধরে তাকে সহ্য করার পর মাত্র দুই দিনের মধ্যে তাকে বিনা নোটিশে অপসারণ করতে হলো? ব্যক্তিকে কেন্দ্র না করে সরকার যদি কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ব্যাংকের কৈফিয়ত তলব করতেন তাহলে সেটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতো। যেমন গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ১৮ শতাংশ থেকে শুরু করে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে। তারপরেও গ্রামের অভাবী মানুষেরা এককালীন কিছু টাকা পাওয়ার আশায় কাবুলিওয়ালার সুদের চেয়েও বেশি সুদে এই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। পরবর্তীতে ঋণের টাকা পরিশোধ করা তো দূরের কথা শুধুমাত্র সুদের টাকা পরিশোধ করতে করতেই সেই ঋণ গ্রহীতা সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এক বা একধিক ব্যক্তির আত্মহত্যার খবর যেমন পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তেমনি টাকা আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহীতার ঘরের টিন খুলে নেয়ার কাহিনীও পত্রিকার পাতায় এসেছে। এসব অভিযোগে সরকার যদি গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন তাহলে সেটি জনগণের সমর্থন পেতো। এখন যা করা হয়েছে তার ফলে বিশ্ববিখ্যাত ‘নিউইয়র্ক টাইমস' পত্রিকা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গণের অনেক রাঘব বোয়ালও বলছেন যে, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করার জন্যই এমন তাড়াহুড়া করে তাকে সরিয়ে দেয়ার গুটি চেলেছেন। ফল কি হলো? ড. ইউনূসের রাজনৈতিক ভাবমূর্তিও অনেক উজ্জ্বল হলো। এই অপসারণ নিয়ে আগামী ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনের সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে।
ড. ইউনূসের ইমেজকে এখন এমন রাজনৈতিক ডাইমেনশন দেয়া হচ্ছে কেন?
দুই
ফতোয়া জারী করা নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সেই প্রশ্নে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে শুনানি চলার পর সেটি স্থগিত হয়ে গেছে এবং আগামী ৯ মার্চ বুধবার পুনবায় শুনানি শুরু হবে। আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ফুলবেঞ্চে থাকছেন না। কারণ ফতোয়া নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের যে বেঞ্চটি রায় দেয় সেই বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ছিলেন নাজমুন আরা সুলতানা। বেঞ্চের অপর সদস্য ছিলেন বিচারপতি গোলাম রববানী।
বেশ কয়েক বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। বোধগম্য কারণেই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এই শুনানি দেখার জন্য শত শত দর্শনার্থী কোর্টে যাচ্ছেন। ফতোয়া নিষিদ্ধ হবে কিনা সেই প্রশ্নে দেশের ওলামা মাশায়েখ এবং ধর্মভীরু মানুষদের মধ্যে বিরাট উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে। মামলায় সুপ্রিমকোর্টের ফুল বেঞ্চকে সহায়তা এবং পরামর্শ দেয়ার জন্য ১০ জন ‘এমিকাস কিউরি' নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ‘এমিকাস কিউরি' বলতে বোঝায় আদালত বান্ধব আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কার্যতালিকায় এই আপিল অন্তর্ভূক্ত হলে শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি করেন আদালত। ওইদিন আদালতকে সহায়তার জন্য সিনিয়র ১০ আইনজীবীকে এমিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তারা হলেন (১) সাবেক বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টি এইচ খান (২) সাবেক এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক (৩) ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ (৪) ড. এম এ জহির (৫) এবিএম নূরুল ইসলাম (৬) জরুরি সরকারের আইন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ (৭) ব্যারিস্টার রাবেয়া ভূঁইয়া (৮) এম আই ফারুকী (৯) ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও (১০) সাবেক এটর্নী জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম।
‘এমিকাস কিউরি' নিয়োগ দেয়ার সময় খেয়াল রাখা হয় যে , যে বিষয়ের ওপর মামলা হয় ‘এমিকাস কিউরি' অর্থাৎ আদালাত বান্ধব আইনজীবীরা যেন সেই বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও বুৎপত্তির অধিকারী হন। অন্য কথায় বলা যেতে পারে যে তারা যেন ঐ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বা পারদর্শী হন। যেহেতু বর্তমানে মামলাটি চলছে ফতোয়ার ওপর তাই সংগতভাবেই ধারণা করা যায় যে, সাধারণভাবে কুরআন শরীফ ও হাদিস শরীফ বিশেষ করে যারা ফতোয়ার ওপর বিশেষজ্ঞ তাদের কয়েকজনের সাথে মাননীয় বিচারকগণ সম্ভবত পরামর্শ করবেন। করলে হয়ত বিষয়টির প্রতি সুবিচার করতেন। যে ১০ ব্যক্তিকে ‘এমিকাস কিউরি' করা হয়েছে তারা নামজাদা উকিল হতে পারেন, কেউ কেউ আধুনিক সংবিধান সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে পারেন।
কিন্তু তাই বলে পবিত্র কুরআন ও হাদিস, বিশেষ করে ফতোয়া সম্পর্কে তাদের পান্ডিত্য রয়েছে বলে মানুষ জানে না। এদের মধ্যে এমন কয়েকজনের নামও রয়েছে যারা ‘মৌলবাদ' শব্দটির বিরোধিতা এমন তীব্রভাবে করছেন যা চূড়ান্ত পর্যয়ে খোদ ইসলাম বিরোধিতারই শামিল হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য কয়েকজন আলেমে দ্বীন এবং ওলামা মশায়েককে নির্বাচন করার কথা বলে আমি তাদেরকে ঠিক ‘এমিকাস কিউরি' হিসাবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলছি না। সেটা আইনের চোখে সঙ্গত কিনা তাও আমার জানা নাই। সম্ভব হলে তাদের ‘এমিকাস কিউরি' হিসাবে নিয়োগ দেয়া উচিত।
সম্ভব না হলে মাননীয় ফুলবেঞ্চ তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন । কোন্ পদ্ধতিতে আলোচনা করবেন সেটি তারাই ঠিক করবেন।
ড. কামাল হোসেন ফতোয়া নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন । তার এই যুক্তি থেকেই বোঝা যায় যে, ফতোয়ার গভীরে তিনি যান নি। সংবিধান সম্পর্কে তিনি যতই বিশেষজ্ঞ হোন না কেন, ফতোয়ার ব্যাপারে তার তেমন একটা পড়াশুনা আছে বলে মনে হয় না।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর টেলিভিশনে মেঠো বক্তৃতা করেন। তার ভাবভঙ্গি ও আচরণ দেখে এবং কথাবার্তা শুনে মনে হয় যে, তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। এই ধরনের ব্যক্তি তালিকায় আরো আছেন।
তিন.
এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ। বি এন পি সরকারের প্রথম মেয়াদের শেষ ভাগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি করা হয় ।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বচনের মাধ্যমে একটি পার্লামেন্ট গঠিত হয়। সেই পার্লামেন্টে কেয়ার টেকার সরকার গঠন সম্বলিত একটি বিল জাতীয় সংসদে পাশ হয় । এই বিলটি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী নামে পরিচিত। এই বিলটি পাশ হওয়ার পর সংসদ ভেঙ্গে যায়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ত্রয়োদশ সংশোধনী মোতাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় এবং শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন। তারপর কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে আরো ৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ব্যবস্থা বিলোপ করার প্রয়োজন যদি অনুভূত হয়ে থাকে তাহলে পার্লামেন্ট সেটা করতে পারে। উচ্চ আদালত এব্যাপারে রায় দেবে কেন? ফতোয়ার ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার না করে বলা যায় যে, সমাজে আজও এটির ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে।
ফতোয়া নিষিদ্ধ করলে যদি কোনো সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয় তার জন্য দায়ী হবেন কে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেমন একটি সংবেদনশীল ব্যাপার তেমনি ফতোয়াও একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এসব ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট যদি রায় দেয় তাহলে তারা দেশব্যাপী বিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থীরা এর বিরুদ্ধে । হাইকোর্টে বা সুপ্রিমকোর্ট এই বিভাজনে একটি পক্ষ হতে যাবেন কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।