২০০৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহি টাউন হলের মাঠে আমরা কজন বন্ধু অনেক দিন পর এক সাথে হয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। মাঠে অবশ্য কি একটা মেলা চলছিল। হঠাৎ ঠিক হলো আগামিকাল সকালে আমরা মর্নিং ওয়াকে বের হবো। পরদিন ঠিক সকাল ৬:৩০ এ পার্থ ও রাজিব এসে কলিং বেল দিল। রেডি হয়ে নীচে নামতে না নামতেই পার্থ কল দিল বলল তাড়াতাড়ি বাইরে আয়।
উল্লেখ্য আমরা দারোগাবাড়ি এলাকায় থাকতাম। হযরত শাহ আবদুল্লাহ্ গাজীপুরি (রহঃ) মাজার মসজিদ সংলগ্ন একটা সুন্দর পুকুর আছে। তো বের হয়ে দেখি বন্ধু ২ জন ছাড়া আরও কয়েকজন পুকুরের দিকে চেয়ে আছে। আমি পার্থকে বল্লাম কি হয়েছে। ও বলল পানি কেমন জানি করছে দেখ।
ব্লগার বন্ধুরা আপারা কেউ দেখেছেন কিনা জানি না...তবে আমি যা দেখলাম সারাজীবন মনে থাকবে। পুকুরের সমস্ত পানি পূবদিকে চলে যাচ্ছে..নদীর স্যোতের মত। আমি চিৎকার করে বললাম পানি কৈ যায়। কেউ জবাব দিলনা। হঠাৎ করে আবার পশ্চিম দিকে পানির স্রোত আসতে লাগল।
তখনি আমাদের মনে হলো ভূমিকম্প নাতো,,আমি বললাম কৈ মাটিতো কাপছে না। প্রায় চার পাচ বার এটা চলল। রাজিব বলল চলতো নান্না (নানুয়া )দিঘীর কি অবস্থা দেখে আসি। ঐ দিঘী আমাদের এলাকার পাশেই কুমিল্লার আরেক ঐতিহ্য। গিয়ে দেখি সেখানে অনেকেই পানির এই আজব নৃত্য দেখছেন।
তখন অবশ্য খুবই স্লো মুভমেন্ট ছিল। তবে পাড়ের গায়ে পানি কতটুকু উঠে ছিল তা বুঝা যাচ্ছিল। এরপর সত্যিকার অর্থেই মর্নিংওয়াক করে ধর্ম সাগর পাড়ে গেলাম। একই রকম পানির ঘটনা যে এখানেও হয়েছে তা পাড়ের উপর ঊঠে আসা পানির দাগ দেখেই বুঝলাম।
এরপর ১১টার দিকে টিভিতে যা দেখলাম তা বলাই বাহুল্য।
আমার মনে যে প্রশ্ন টি আজও ঘুর পাক খায়,তাহলো এটাকি কারনে হলো? ঘটনা ঘটছে ভারত মহাসাগরে আমার এলাকার পুকুরের বা দিঘীগুলোর পানি কম্পন হলো কেন?
কোন বালতি বা পাত্্রের পানিওকি কেপেছিল জোয়ারভাটর মতো?যারা নিহত হয়েছেন তাদের ্রতি রইল প্রার্থনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।